আজ- মঙ্গলবার | ২১ অক্টোবর, ২০২৫
৫ কার্তিক, ১৪৩২ | সকাল ৭:১৮
২১ অক্টোবর, ২০২৫
৫ কার্তিক, ১৪৩২
২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

ঘাটাইলে সৎ’বাবার লালসায় মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মালিরচালা(বাগামারি পাড়া) গ্রামে সৎ’বাবার যৌন লালসার শিকার হয়ে মেয়ে আমিনা খাতুন(১৮) এখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় আমিনা খাতুন বাদী হয়ে সৎবাবা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাইপাড় গ্রামের আমির হোসেনের সাথে বিয়ে হয় বানেছা বানুর। তাদের ঘরে আমিনা খাতুন নামে এ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মেয়েটির বয়স যখন ৩-৪ বছর তখন আমির হোসেনের সাথে বানেছা বানুর বিচ্ছেদ হয়। ফলে মায়ের সাথেই শিশু কন্যা আমিনা চলে আসে নানার বাড়ি ঘাটাইলের সাগরদিঘী এলাকার ফুলমালীরচালা গ্রামে। ওই বাড়িতে লম্পট কামরুল ইসলামের যাতায়াতের এক পর্যায়ে বানেছা বানুর সাথে সক্ষতা হয়। সখ্যতার এক পর্যায়ে বানেছা বানুকে বিয়ে করে কামরুল। বিয়ের শর্ত থাকে বানেছা বানুর মেয়ে আমেনাকে কামরুল মেয়ে হিসেবে দেখভাল করবে। পরে বানেছা বানু জানতে পারে তার স্বামী কামরুল ইসলাম এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছিল। তারপরও দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ায় আশায় বুক বেধে ঘর-সংসার করতে থাকে বানেছা বানু। প্রথম কয়েক বছর ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিছুদিন পর মেয়ে আমিনার উপর লম্পট কামরুলের কু-দৃষ্টি লক্ষ্য করে তার মা বানেছা বানু মেয়ে আমিনাকে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে লম্পট কামরুলকে সতর্কও করে দেয় বানেছা বানু। এতে তার উপর পাশবিক নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। নানা ছল-ছুতোয় বানেছাকে মারধর করে কামরুল। এমতাবস্থায় গত ২ ফেব্রুয়ারি আমেনা খাতুন তার মাকে দেখতে যায়। সে রাতে বানেছা বানু ঘুমিয়ে পড়লে আমেনা খাতুনকে সৎ’বাবা কামরুল ইসলাম ধর্ষণ করেন।
আমিনা খাতুন জানায়, ঘটনার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে দেড়টার দিকে অতর্কিতভাবে তার মুখ ছাপিয়ে ধরে কামরুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এভাবে একাধিক বার কামরুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করে। ফলে আমেনা খাতুন গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
আমিনা খাতুন বর্তমানে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাঙ্গাইলের আদালতে মামলা দায়ের করলেও মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় লিটন ভূঞা, আ. জব্বার, আনছার আলী, সন্দুল সহ প্রতিবেশিরা জানায়, কামরুল ইসলাম শুধু লম্পটই নয়, সে একজন প্রতারক। এরআগেও একাধিক নারীর সম্ভ্রমহানী করেছে।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়