আজ- শুক্রবার | ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
১৫ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ৪:০৪
৩১ অক্টোবর, ২০২৫
১৫ কার্তিক, ১৪৩২
৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১৫ কার্তিক, ১৪৩২

জামাই-শাশুড়ির বিয়ে :: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের নামে মামলা

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের আলোচিত গোপালপুরের জামাইয়ের সঙ্গে শাশুড়ির বিয়ের ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদারসহ ১১জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন শাশুড়ি মাজেদা বেগম। রোববার(২৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোপালপুর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোপালপুর আমলি আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে গোপালপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান, আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে, ধর্ম অবমাননা, শারিরীক নির্যাতনের মত গুরুতর অপরাধের বিষয় এ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার, নিকাহ রেজিস্ট্রার(কাজী), নিকাহ রেজিস্ট্রারের সহকারী(সহকারী কাজী) ও ইউপিসদস্য সহ ১১জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ আইন অনুযায়ী একই দিনে তালাক ও বিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। ফলে একই বৈঠকে তালাক দিয়ে এই বিয়ে কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। আবার ইসলামি বিধান ও অনুশাসন অনুযায়ী, শাশুড়ি অর্থাৎ নিজের স্ত্রীর মাকে বিয়ে করা চিরস্থায়ী হারাম। এছাড়া আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে- সুতরাং এ মামলায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

প্রকাশ, সম্প্রতি গোপালপুরের হাদিরা ইউনিয়নে কড়িয়াটা গ্রামে স্ত্রীকে বিয়ের ১১দিনের মাথায় তালাক দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ের ঘটনাটি বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ঘটনার খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। তবে এই আলোচিত-সমালোচিত ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের পেশীশক্তির জোরে ও সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে করা হয় বলে সম্প্রতি অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে নূরন্নাহার খাতুনকে(১৯) ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলী(৩২) বিয়ে করেন। বিয়ের পরদিন শাশুড়ি মাজেদা বেগম মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বর-কনেসহ নিজবাড়িতে ফেরেন শাশুড়ি মাজেদা। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নূরন্নাহার স্বামী মোনছেরের সংসার করবেন না বলে আপত্তি তোলেন। শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

অপরদিকে, মেয়ে নূরন্নাহারের স্বামী মোনছেরের সংসার না করার আপত্তি থাকায় শাশুড়ি মাজেদা বেগম(৪০) নতুন জামাতার সংসার করার সম্মতি জানান। পারিবারিক এ সংকট নিরসনে অসহায় শ্বশুর নূর ইসলাম গ্রাম্য সালিশের স্মরণাপন্ন হন।

এরপর এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অন্যান্য ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসীদের নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে।সালিশে শাশুড়ি মাজেদা বেগমকে মেয়ের জামাতা মোনছের আলী বিয়ে করার খবরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাড়ি ঘেরাও করাসহ মারপিট করে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়