দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পূর্বাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত লাঙ্গুলিয়া নদী দূষণের কারণে পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। মানুষসহ প্রাণীকূলের ওপর পড়ছে এ দূষণের প্রভাব। পানি পান করে মারা যাচ্ছে গবাদি পশুসহ অন্যান্য পশুপাখি।
এমন বিপন্ন পরিবেশের মধ্যেই বসবাস করছে নদীর দু’পাড়ের সাধারণ মানুষ। নদী দূষণকারী প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে লাঙ্গুলিয়া নদীর দু’পাড়ের বসবাসরত সাধারণ মানুষের ওপর চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।
সরেজমিনে সাধারণ মানুষের অভিযোগে জানা যায়, টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প অধ্যুশিত বল্লা, সিঙ্গাইর, টেংগুরিয়া, ছাতিহাটী, বেহালাবাড়ী, রতনগঞ্জসহ প্রায় অর্ধশত গ্রামে ছোট বড় মিলে প্রায় দেড়হাজার ডাইং ও প্রিটিং কারখানায় সুতা রং করা হয়। এসব কারখানায় বর্জ্য ইটিপি প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিশোধন না করে সরাসরি লাঙ্গুলিয়া নদীতে ফেলা হয়। বছরের পর বছর এসব বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে এ নদীটি ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়েছে।
এ কারণে প্রায় ৩০ কি. মি. দীর্ঘ নদীর দু’পাশের মানুষ নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে । নদীর মাছসহ গবাদি পশু নদীর পানি পান করে মারা যাচ্ছে। বর্জ্যের দূর্গন্ধে মানুষের বসবাস করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না সাধারণ জনগণ। তবে স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি, ভয়াবহ দূষণের শিকার হয়ে আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে লাঙ্গুলিয়া নদী। প্রধানমন্ত্রীর নদী-খাল রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন নদী দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এটাই প্রত্যাশা এলঅকাবাসীর। এ ব্যাপারে এখনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ এলাকায় চরম বির্পযয় নেমে আসবে।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা দূষণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী বলেন, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা স্থানীয়দের নিয়ে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করব।
