আজ- বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | বিকাল ৪:০৭
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে আদালতের নাজির ও হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. নাসির উদ্দিন এবং ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মো. হারুন-অর-রশিদকে ঘুষ গ্রহন ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের সাক্ষরিত গত ২৫ মে এক পত্রে তাদের অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, আদালতের নাজির মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জারীকারক ও অন্যান্য কমচারীসহ ২৯জন (স্মারক নং-১৫২ (১-২) এবং ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মো. হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ওই কার্যালয়ের ২৯জন জারীকারক ও অন্যান্য কমচারী গত ২৫ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দেন (স্মারক নং-১৫৩ (১-৩)।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জারীকারকসহ আদালতের অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে মো. নাসির উদ্দিন ও মো. হারুন-অর-রশিদ প্রতিমাসে প্রতি হাওলায় জনপ্রতি টাকা দাবি করেন। প্রতি জরুরি সমনের জন্য ৫০০ টাকা করে তাদেরকে দিতে হয়। এছাড়া প্রতি জারীকারকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অফিস চত্ত্বরে ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের জন্য সরকারিভাবে টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃক নিয়োজিত লোক দিয়ে কাজ করা হলেও সেই কাজের জন্য জারীকারকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়। এতে আদালতে কর্মরত সকল জারীকারক ও অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের দুইজনের কাছে জিম্ম হয়ে পড়েছেন।

জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মো. নাসির উদ্দিন ও মো. হারুন-অর-রশিদকে শোকজ(কারণ দর্শানোর নোটিশ) করেন। তাদেরকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।

কিন্তু ২৯জন কর্মচারীর অভিযোগের পরিপ্র্রেক্ষিতে শোকজ বা কারণ দর্শানোর জবাব গ্রহনযোগ্য না হওয়া সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ সনের ৩ এর (খ) বিধির আওতায় তাদের দুইজনকেই অভিযুক্ত করা হয়।

একই সাথে নাজির মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগনামাটি ভারপ্রাপ্ত জজ- নেজারত বিভাগের কাছে প্রেরণ করেন। এছাড়া হিসাব সহকারী মো. হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগনামাটি ভারপ্রাপ্ত জজ- নেজারত বিভাগ ও ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মো. নাসির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

তবে ভূঞাপুর সহকারী জজ আদালতের হিসাব সহকারী মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, তাদের দুইজনের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় দু’জনকেই শোকজ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়