আজ- মঙ্গলবার | ২১ অক্টোবর, ২০২৫
৫ কার্তিক, ১৪৩২ | সকাল ৭:১৩
২১ অক্টোবর, ২০২৫
৫ কার্তিক, ১৪৩২
২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে জমি নিয়ে সালিশি বৈঠকে হামলায় আহত ১

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বার্থাগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সালিশি বৈঠকে হামলা চালিয়ে মো. কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি প্রতিপক্ষের হাতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল মডেল থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তুলে নিতে প্রতিপক্ষের লেঅকজন নানা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বার্থা গ্রামের মৃত আব্দুল রাজ্জাকের স্ত্রী মোছা. ফরিদা বেগম(৫৫) ও তাঁর দেবর মো. বারেক খানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলছে। এনিয়ে তিন দফায় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতব্বর সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গ্রাম্য সালিশ করলেও বারেক খান মেনে না নিয়ে জোরপূর্বক তাঁর ভাই মৃত আব্দুর রাজ্জাক খানের জমি ভোগদখল করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকালে পুনরায় স্থানীয় খালেক মাতব্বরের বাড়ির সামনে সালিশি বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়। সালিশি বৈঠকে উপস্থিত ২ নং গালা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আতোয়ার, প্যানেল চেয়ারম্যান রকিবুর রহমান খান তন্ময়, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা বেগম, স্থানীয় মাতব্বর খালেক ওরফে নিশান, সিদ্দিকুর রহমান (সিদ্দিক), হাসেন, হায়দর, আনিছ শিকদার, হাসমত মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হন। বৈঠকে মো. বারেক খান ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল হোসেন খানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মো. কামাল হোসেন খান গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় মো. বারেক খানের ছেলে বেল্লাল হোসেন খান লোহার রড দিয়ে তাকে আঘাত করেন। এতে মো. কামাল হোসেন মারাতœক আহত হন। এ ঘটনায় উপস্থিত মাতব্বররা কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়েন। পরে উপস্থিত মাতব্বররা কামাল হেসেন খানকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মো. কামাল হোসেন খান বাদী হয়ে বার্থা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন খানের ছেলে মো. বারেক খান(৫৫), তাঁর ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন খান(২৮), তাঁর স্ত্রী বেলা বেগম(৫০), মো. জীবন মল্লিক ওরফে গেন্দীর স্ত্রী মোছা. শাহিনা বেগম(২৬), মোকাদ্দেস ওরফে লালে (৬০) ও তাঁর স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে(৫২) অভিযুক্ত করে মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি তুলে নিতে বেল্লাল খান ও তার লোকজন মো. কামাল হোসেন খানকে নানা ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
আহত কামাল হোসেন খান জানান, সালিশের মধ্যে আমার বাবা কথা বলায় বেল্লাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে বেল্লাল ঝাপটে ধরে ও বারেক কিল, ঘুষি দিতে থাকেন। এক পর্যায় বেল্লাল লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন।
আব্দুল রাজ্জাকের স্ত্রী মোছা. ফরিদা বেগম জানান, আমার বসতবাড়ির কিছু অংশ বারেক খান জোরপূর্বক বেদখল করে রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার মাতব্বররা সালিশ করলে তাঁরা তা মানেন না। এ নিয়ে এনিয়ে শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকালে সালিশের আয়োজন করলে বারেক খান ও তাঁর লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতব্বরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার পরিবারকে খুন করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত বেল্লাল খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়