
দৃষ্টি নিউজ:
বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কান্দিলা নামক স্থানে শনিবার(২৮ মার্চ) ভোরে একটি সিমেণ্ট বোঝাই ট্রাক উল্টে পাঁচ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়। পরে হাসপাতালে আরো এক জনের মৃত্যু হলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬। তারা সবাই যাত্রীবাহী পরিবহন না পেয়ে রংপুর যাচ্ছিল। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন, পীরগঞ্জ উপজেলার শটিবাড়ি গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ দীপক(৩৫), বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার মৃত কাদেরের ছেলে আলেক(৪৫) ও আফসার আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাবু (২৫), টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সমতুল্লাহ শেখের ছেলে জুলহাস আলী (৫০) ও গাজীপুরের কাপাশিয়ার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম(৪৫)। অপর এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিকট শব্দে তারা মহাসড়কে গিয়ে ট্রাকটি উল্টে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এ সময় তারা আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে জানতে পারেন চালক ঝিমিয়ে ট্রাক চালানোর কারণে মহাড়কের ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে ট্রাকটি উল্টে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকরা এসে হতাহতদের উদ্ধার করে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, হতাহতদের অনেকের বাড়ি রংপুর জেলায়। করোনার কারণে কাজ না থাকায় তারা বাড়ি ফিরছিল। তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে উঠেছিল। হতাহতদের সবাই দিনমজুর ও শ্রমিক।
টাঙ্গাইল ফায়ার স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম ও ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সাজেদুল জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী সিমেণ্ট বোঝাই একটি ট্রাক(বগুড়া-ট-১১-১১৭১) শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের কান্দিলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনস্থলেই ট্রাকের উপরে যাত্রী হিসেবে থাকা পাঁচ জন ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন নিহত হয়।
এ ঘটনায় আহত ১০ জন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সজিব বলেন, চিকিৎসাধীন ১০ জনের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
