আজ- সোমবার | ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
২৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | রাত ১১:৫৫
১৩ অক্টোবর, ২০২৫
২৮ আশ্বিন, ১৪৩২
১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ধ্বসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাট নামকস্থানে নির্মিত ব্রিজের অ্যাপ্রোচ(সংযোগ সড়ক) ধ্বসে পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে ব্রিজের পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রেচ(সংযোগ সড়ক) ধ্বসে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

 

 

 

 

 

স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজের অ্যাপ্রেচ(সংযোগ সড়ক) ধ্বসে যাওয়ায় সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিগত ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর থেকে কয়েকবার পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপ্রোচ রোড(সংযোগ সড়ক) ধসে যায়। এরআগে শেষবার গত বছরের ১০ জুলাই ব্রিজের পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ ধ্বসে পড়ায় পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়।

 

 

 

 

 

 

 

তারা জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রিজটির অ্যাপ্রোচে আবার ধ্বস নামে। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে চরাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়া মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে যাতায়াতেরও ব্যাঘাত ঘটছে। এদিকে এই ব্রিজের উপর দিয়ে চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, অটোভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। অ্যাপ্রোচ ধ্বসের ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

 

 

 

 

 

 

 

সিএনজি চালিত অটো রিকশার চালক আব্দুল হাই ও খোরশেদ আলম জানান, তিনি বুধবার(৮ অক্টোবর) ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখতে পান ব্রিজের পশ্চিপাশের অ্যাপ্রোচ ধ্বসে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে তিনি ধ্বসে পড়ার ভাঙনের দৃশ্য দেখছেন। দ্রæত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে তারা আর গাড়ি চালাতে পারবেন না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কাতুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান জানান, নদীর পানির চাপ বেড়ে ব্রিজের পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ স্থানীয় কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ব্রিজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।

 

 

 

 

 

 

 

সদর উপজেলার এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, তিনি সরেজমিনে ধ্বসেপড়া স্থান পরিদর্শন করেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরিভাবে অ্যাপ্রোচটি মেরাততের ব্যবস্থা করা হবে।

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সদর উপজেলা পরিষদের সঙ্গে কথা বলে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে অ্যাপ্রোচ মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়