দৃষ্টি নিউজ:

কার্যক্রম নিষিদ্ধ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তারেক শামস খান হিমু জাতীয়পার্টির(জেপি) প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৬(নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার(২৯ ডিসেম্বর) জমার শেষ দিন টাঙ্গাইলের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির জেপি) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জেপি থেকে তারেক শামস খান হিমু মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত সোমবার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, তারেক শামস খান হিমু দাপটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার হন। কারাগার থেকে বের হয়ে সেই আওয়ামী লীগ নেতা রাতারাতি দল বদল করে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সূত্রমতে, তারেক শামস খান হিমু নব্বইয়ের দশকে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হন। নিজ এলাকা টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্য নেতাকর্মীদের মতো তারেক শামস খান হিমুও আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে নাগরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলার অভিযোগে থানায় মামলা হয়। হঠাৎ ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থর সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ছবি দেখা যায়। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। গত ১৪ জুলাই দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশ তাঁকে আটক করে নাগরপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। প্রায় এক মাস জেল-হাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দল জাতীয়পার্টির(জেপি) হয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জাতীয় পার্টি(জেপি) থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তারেক শামস খান হিমু জানান, আওয়ামী লীগ তাঁর ওপর অনেক অবিচার করেছে। জেলা আওয়ামী লীগে তাঁকে সহ-সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করে সেখানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামকে টিটুকে স্থলাভিষিক্ত করেছিল।
তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক শামস খান হিমুকে দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয়নি। তিনি এখনো সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
