দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল শহরের জেলা সদর রোডে অবস্থিত ওষুধ বিক্রিকারী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান লাজফার্মায় নকল ওষুধ বিক্রির দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমান বিষয়ে একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবাদ প্রচার করছে। শুক্রবার(৫ ডিসেম্বর) ‘টাঙ্গাইল লাজফার্মা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’ পত্রটি ‘হ্যান্ডবিল’ আকারে ছেপে বিভিন্ন মসজিদের সামনে মুসল্লিদের মাঝে বিলি করা হয়।
ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মির্জা শামীম আরা ও মো. জয়নাল আবেদীন খানের নামে প্রচারিত হ্যান্ডবিলে বলা হয়, লাজফার্মা কর্পোরেট অফিস থেকে নির্দেশিত হয়ে তারা দেশের বিভিন্ন কোম্পানী থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকেন। বিশেষ নিয়ম-কানুন মেনে ওষুধ সংরক্ষণ করায় দিন দিন তাদের গ্রাহক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের ব্যবসায়িক সাফল্যে কিছু অসাদু লোক ঈর্ষান্বিত বলে তারা অনুমান করছেন। তারা কখনোই কোনো প্রকার নকল ওষুধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করেন না।
অথচ গত ৩০ নভেম্বর জনৈক ভোক্তার সুনির্দিষ্ট আবেদনের প্রেক্ষিতে লাজফার্মায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালায়। অভিযানে নকল ওষুধ বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় ভোক্তা অধিদপ্তর দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, ক্যাবের সদস্য সহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
টাঙ্গাইল ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল জানান, এ ধরনের প্রতিবাদপত্রটি মূলত বিভ্রান্তিকর। জনসাধারণকে ভুল ম্যাসেজ দেওয়ার একটা পায়তারা মাত্র। ভোক্তার সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে হাতে-নাতে নকল ওষুধ পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জরিমানা করেছে এবং লাজফার্মা তা পরিশোধও করেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, ভোক্তার লিখিত অভিযোগ পেয়ে তারা আভিযানিক দল নিয়ে লাজফার্মায় গিয়ে হাতে-নাতে নকল ওষুধ বিক্রির প্রমাণ পান। পরে তাদেরকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে তাদের সম্মান কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়ে থাকতে পারে। সেজন্য তারা একটি প্রতিবাদপত্র হ্যান্ডবিল আকারে ছেপে ‘ইমেজ’ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রচার করে থাকতে পারে।
