দৃষ্টি নিউজ:
তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসা টাঙ্গাইল শাখার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদি হয়েছেন টাঙ্গাইল জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট এমএ মালেক আদনান। বৃহষ্পতিবার (১৭ জুলাই) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মাহ্বুব খাঁন মামলাটি গ্রহণ করে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশকে(ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, খাইরুল ইসলাম ও তার মা খাদিজা বেগম একমাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার কথা বলে অ্যাডভোকেট এমএ মালেক আদনানের কাছ থেকে বিগত ২০২১ সালের ২ এপ্রিল নয় লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা টাকা ফেরত দেননি। একই বছর ১৯ মে অভিযুক্ত খাইরুল ইসলাম তার মায়ের একটি চেকের পাতায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেই সাক্ষর করে তা অ্যাডভোকেট মালেক আদনানকে প্রদান করেন। পরে চেকটি ব্যাংক কর্তৃক ডিজঅনার হলে খাদিজা বেগমের নামে মামলা হয়। সেই চেকের মামলা চলমান থাকাবস্থায় খাদিজা বেগম মারা গেলে আদালত মামলাটি স্থগিত করে দেন।
পক্ষান্তরে অন্য আরেকটি মামলায় অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম স্বীকার করেন, তিনি নিজেই তার মায়ের চেকে সাক্ষর দিয়ে বাদীকে প্রদান করেন। সর্বশেষ খায়রুল ইসলাম গত ৩০ জুন বাদীকে তার পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় এমএ মালেক আদনান বাধ্য হয়ে খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদী অ্যাডভোকেট এমএ মালেক আদনান জানান, আসামি খাইরুল ইসলাম জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তার নয় লাখ টাকা আত্মসাতের ধান্ধা করছেন। তিনি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ হোসেন মনি জানান, তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসা টাঙ্গাইল শাখার অধ্যক্ষ খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা বিজ্ঞ আদালতে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছেন।