আজ- মঙ্গলবার | ২১ অক্টোবর, ২০২৫
৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ভোর ৫:০৮
২১ অক্টোবর, ২০২৫
৫ কার্তিক, ১৪৩২
২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

পাছবেথইরে ঘর নির্মাণ নিয়ে তুলকালাম!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের পাছবেথইর গ্রামে ৯ শতাংশ জায়গার মধ্যে একটি ঘর নির্মাণ নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটছে। ওই ৯ শতাংশ জায়গার মালিকানা দাবি করছেন স্থানীয় স্বর্গীয় নারায়ন দত্তের ছেলে প্রভাত কুমার দত্ত এবং স্বর্গীয় হরি লাল দত্তের স্ত্রী সহচরী দত্ত। সোমবার(২ সেপ্টেম্বর) ওই জায়গায় সহচরী দত্ত স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় একটি ঘর নির্মাণ করার সময় প্রভাত চন্দ্র দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।

প্রভাত কুমার দত্তের দাবি, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া পাছবেথইর মৌজার পুরাতন দাগ-১৯২, নতুন দাগ-৫৩৮ এর ২৫ শতাংশ বাড়ি ভিপি তালিকাভুক্ত হয়। পরে বৈধ কাগজপত্রের আলোকে মামলার মাধ্যমে ভিপি মুক্ত করা হয় এবং প্রভাত কুমার দত্ত ওই জায়গার খাজনা-খারিজ(নাম জারি) করেন। ভিপি তালিকাভুক্ত থাকাবস্থায় পশ্চিমাংশের ৯ শতাংশ সম্পত্তি বিধবা সহচরী দত্ত নকল দলিলের(জাল দলিল) মাধ্যমে প্রতিবেশি মৃত বানিজ মিয়ার ছেলে ইবাদত মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। এ বিষয়ে মামলা থাকাবস্থায় ওই জায়গায় একাধিকবার ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করে। পরে ওইস্থানে আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় ইবাদত মিয়া, প্রফুল্ল ঘোষ, জামাল মিয়া ও আফজাল হোসেন কালু সহ ২৫-৩০জন বহিরাগত নিয়ে ওইস্থানে ঘর উত্তোলনের চেষ্টা করে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে ঘর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।

সহচরী দত্ত জানান, ওই ৯ শতাংশ সম্পত্তি তার স্বামী স্বর্গীয় হরি লাল দত্ত তার নামে দানপত্র দলিল করে দিয়েছেন। প্রভাত চন্দ্র দত্ত তার নামে ১০টি মামলা দায়ের করে। কিন্তু আদালত ৮টি মামলায় তার পক্ষে রায় দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানার এএসআই লাকী আক্তার জানান, বিরোধীয় ভূমিতে তিনি ঘর উত্তোলন না করার জন্য বলে এসেছেন। উভয়পক্ষকে কাগজপত্রাদি জমা দিতে বলেছেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়