আজ- মঙ্গলবার | ১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২ | সকাল ১১:৪৮
১১ নভেম্বর, ২০২৫
২৬ কার্তিক, ১৪৩২
১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গোপালপুর নির্বাচন অফিসে হামলা

গোপালপুর প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী সহ ১২০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার(১০ নভেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন।

 

 

 

 

 

 

 

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান, যুগ্ম-সম্পাদক মহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মিয়া, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি তুহিন এবং বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম। এছাড়া মামলায় আরো ১০০ থেকে ১২০জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

মামলায় উল্লেখ করা হয়- সোমবার সকালে গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের অফিস রুমে বিএনপির উল্লেখিত ছয় নেতা সহ যুবদলের একশ’ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের নেতাকর্মী প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান উপজেলা নির্বাচন অফিসার কে তা জানতে চান। এরপর নির্বাচন অফিসারের কাছে গিয়ে বলেন কেন তাদের মূল্যয়ন করা হয়না এবং কেন তাদের কথা মতো কাজ করেন না? এসময় তারা ‘আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে’ এমন অপবাদ দিয়ে নির্বাচন অফিসারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে মারপিট করে এবং মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এই ঘটনাটি শুরু থেকে গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্ক্যানিং অপারেটর সুমন রানা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে থাকেন। বিষয়টি টের পেয়ে বিএনপি-যুবদলের নেতাকর্মীরা সুমন রানাকে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পর ও কিল-ঘুষি দেয় এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এসময় অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন স্ক্যানিং অপারেটর সুমন রানাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু রায়হান এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি-লাথি মারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

পরে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন কক্ষের ও জানালার থাই গ্লাস, বারান্দায় রাখা ফুলের টব সহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও হেল্প ডেস্কে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে বিনষ্ট করে। আহত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি তুহিনের নেতৃত্বে পুনরায় হামলা করা হয়।

 

 

 

 

এ ঘটনার পর এদিন দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মামুন ভূইয়া জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আরো পাঁচ নেতা সহ একশ’ থেকে ১২০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়