দৃষ্টি রিপোর্ট:
উত্তরাঞ্চলের উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের তিস্তা নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়ে যাওয়ায় আগামি একদিনের মধ্যে বন্যা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। রোববার (২০ জুলাই) কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘আগামি ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা সংলগ্ন অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পরবর্তীতে ৩০ জুলাইয়ের দিকে হ্রাস পেতে পারে।’ এর ফলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রকৌশলী রায়হান।
এদিকে, রোববার বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের রংপুর ও সিলেট বিভাগে এবং উজানের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অরুণাচল, মিজোরাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারি থেকে অভিভারি বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে। এর ফলে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নদ-নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে ও পরবর্তী দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামি তিন দিন দেশের সিলেট, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি-ভারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
ফলে, তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামি ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে ও লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, বর্তমানে দেশের সবকটি প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট বিভাগের মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীসর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে নদীগুলোর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে ও পরবর্তী দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। এছাড়া, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানিও সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা আগামি পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অপরদিকে, যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে; এসব নদ-নদীর পানি সমতল আগামি দুদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী তিন দিন হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।