আজ- শুক্রবার | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ আশ্বিন, ১৪৩২ | রাত ৪:০৭
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ আশ্বিন, ১৪৩২
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন, ১৪৩২

ভূঞাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের পুখুরিয়া-শিয়ালকোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষণে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রফিক ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পুখুরিয়া-শিয়ালকোল গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষিতা সৌদি প্রবাসীর মেয়ে ও ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহল অসহায় পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পরই আত্মগোপন করেছেন ওই শিক্ষক।
জানা গেছে, উপজেলার পুুখুরিয়া-শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তিনি ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানি করতে শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার(১২ জুলাই) বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন লম্পট শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক। এসময় মেয়েটির চিৎকার করলে ধর্ষক শিক্ষক পালিয়ে যান। পরে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে ধর্ষক শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান মেয়েটিকে হুমকি দেন। এতে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী। এর ক’দিন পরই রোববার(১৫ জুলাই) মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। অসুস্থ হওয়ার পরই মেয়েটি তার পরিবারকে বিষয়টি খুলে বলে। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হলে তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মেয়ের পরিবারকে চাপ দেয়া শুরু করে। প্রভাবশালীদের ভয়ে অসহায় ওই পরিবারটি এখন মেয়েটির চিকিৎসা দেয়াসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধর্ষিতার চাচা কামাল হোসেন জানান, এরআগেও অনেকবার আমার ভাতিজিকে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ গায়ে হাত ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন ওই শিক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক। সম্প্রতি ভাতিজি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি আমরা জানতে পেরে স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করি। তবে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এবং আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে পরিবার থেকে মেয়েটাকে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। বাড়িতেই এখন গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে কোন রকমে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। তবে পর্যায়ক্রমে মেয়েটি বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।
এ নিয়ে পুখুরিয়া-শিয়ালকোল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তেমন কিছু হয়নি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি। অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
ভূঞাপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ও ঘটনাস্থলের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন জানান, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় ছাত্রী বা তার পরিবার থেকে লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুছ ছালাম মিয়া জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। যদি এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ধর্ষিতা ছাত্রী বা তার পরিবার নীরিহ ও অসহায় হওয়ার কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অক্ষম হয় তাহলে ওই পরিবারকে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সহযোগিতাসহ আইনী সহায়তা দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়