আজ- সোমবার | ২০ অক্টোবর, ২০২৫
৪ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ১১:৫৩
২০ অক্টোবর, ২০২৫
৪ কার্তিক, ১৪৩২
২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক, ১৪৩২

মধুপুরে উচ্ছেদ আতঙ্কে ১৩ আদিবাসী সংগঠনের মানববন্ধন

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চলে বসবাসকারী গারো-কোচ সম্প্রদায়ের লোকদের উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে আদিবাসী ১৩টি সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সোমবার(২৫ জানুয়ারি) দুপুরে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

পরে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজনকারী সংগঠনগুলো হচ্ছে- জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ, আচিকমিচিক সোসাইটি, বাগাছাস, গাসু, জিএসএফ, আজিয়া,

এসিডিএফ, কোচ আদিবাসী সংগঠন, জলছত্র হরিসভা, সিবিএনসি, ইআইপিএলআর, আবিমা আদিবাসী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি., পীরগাছা থাংআনি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.।

এ ১৩টি সংগঠনের ব্যানারে গড় এলাকার সহস্রাধিক গারো ও কোচ নারী-পুরুষ ফেস্টুন-ব্যানার হাতে নিয়ে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাগাছাসের সভাপতি জন যেত্রা, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, জিএমএডিসি’র সভাপতি অজয় এ মৃ, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উইলিয়াম দাজেল, আজিয়া

সভাপতি মিঠুন হাগিদক, আচিকমিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ম্রং, জিএসএফ’র সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল, গাসু’র সভাপতি ইব্রীয় মানখিন প্রমুখ।

এ সময় আদিবাসীদের এ আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, মধুপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহম্মেদ নাসির, শোলাকুড়ি ইউপি

চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু, বেরীবাইদ ইউপি চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন ও অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম।

বক্তারা স্মারকলিপিতে প্রদত্ত ৬ দফা দাবিনামা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।

৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- আদিবাসীদের ভূমি চিহ্নিত করা; মধুপুর বনাঞ্চলের সংরক্ষিত, জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক ঘোষণাকে বাতিল করে তাদের সাথে অর্থপূর্ণ আলোচনার ব্যবস্থা করা; ১৯৮২ সালের আতিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিল করে তাদের রেকর্ডকৃত জমির বন্ধ করা

খাজনা নেওয়া আবার চালু করা; স্বত্বদখলীয় ভূমি সমূহ স্থায়ী বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা; বন মামলা সমূহ ভ্রাম্যমান আদালত সৃষ্টি করে দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা এবং সামাজিক বনায়ন বাতিল করে প্রাকৃতিক বন রক্ষার দায়িত্ব তথা কমিউনিটি ফরেষ্ট্রি বা গ্রামবন পদ্ধতি চালু করা।

প্রকাশ, সম্প্রতি বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধার সংক্রান্ত একটি নোটিশ মধুপুর গড়ের বসবাসকারী গারো ও কোচ সম্প্রদায়ের লোকদের উচ্ছেদ আতঙ্কে ফেলেছে।

মধুপুর গড়াঞ্চলে আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছে। তাদের পূর্বপুরুষরা এ গড়াঞ্চলের উঁচু চালা জমিতে জুম চাষ ও নিচু বাইদ জমিতে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়