আজ- শুক্রবার | ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
১ কার্তিক, ১৪৩২ | রাত ৮:২৩
১৭ অক্টোবর, ২০২৫
১ কার্তিক, ১৪৩২
১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১ কার্তিক, ১৪৩২

মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় সাজানো মামলায় হয়রানীর অভিযোগ

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বীরপুষিয়া গ্রামে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দিয়ে স্থানীয় মাতব্বর মো. বাবর আলীকে হয়রানীর অভিযোগ ওঠেছে।

জানাগেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বীরপুষিয়া নয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাশেম মোল্লার ছেলে মো. ফিরোজ মিয়া(২৮) একজন মাদকসেবী। তিনি নিয়মিত

হেরোইনের নেশা করেন এবং ইতোপূর্বে পুলিশ তাকে একাধিকবার আটকও করেছে। তার স্ত্রী মোছা. রেফা আক্তার নানাভাবে চেষ্টা করে স্বামীকে মাদক থেকে ফেরাতে পারেন নি।

সম্প্রতি মো. ফিরোজ মিয়া তার স্ত্রীকে মাদকের টাকার জন্য মারপিট করেন। পরে মোছা. রেফা আক্তার স্থানীয় মাতব্বর মো. বাবর আলীকে স্বামীর মাদকাসক্তের বিষয়টি জানান। মাতব্বর মো. বাবর আলী মো. ফিরোজ মিয়াকে ডেকে এনে মৌখিকভাবে শাসন করেন।

এতে ক্ষুব্দ হয়ে মো. ফিরোজ মিয়া তার স্ত্রী মোছা. রেফা আক্তারকে আবার মারপিট করেন। পুনরায় স্ত্রীকে মারপিট করার খবর পেয়ে মাতব্বর মো. বাবর আলী মাদকাসক্ত মো. ফিরোজ মিয়াকে ডেকে এনে চর-থাপ্পর দেন।

এতে মো. ফিরোজ মিয়া আরও ক্ষুব্ধ হয়ে তার বোন মোছা সাহিদা আক্তারকে বাদি করে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মাতব্বর মো. বাবর আলীর নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মাদকাসক্ত মো. ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী মোছা. রেফা আক্তার জানান, মাতব্বর মো. বাবর আলীর কাছ থেকে টাকা হওলাত এনে তিনি ব্যবসা করার জন্য স্বামীকে দিয়েছিলেন। কিন্তু সে টাকা মাদক সেবন করে নষ্ট করে ফেলেছে।

স্থানীয় মাতব্বর মো. রেজাউল করিম, মো. মজনু মিয়া, মানবাধিকার কর্মী সিদ্দিক হোসেন সহ অনেকেই জানান, মো. বাবর আলী মাদকসেবী মো. ফিরোজ মিয়াকে মাদক গ্রহনে বাঁধা দেওয়ায় তার বোনকে বাদি করে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।

টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়