আজ- বৃহস্পতিবার | ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
৩১ আশ্বিন, ১৪৩২ | রাত ৮:৪৮
১৬ অক্টোবর, ২০২৫
৩১ আশ্বিন, ১৪৩২
১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩২

ম্যানেজারের প্রতারণায় মিল মালিক দিশেহারা!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভুমরিয়া গ্রামের রাইসমিল ব্যবসায়ী মনজেল হোসেন তার ম্যানেজার বাবর আলীর প্রতারণার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ম্যানেজার বাবর আলী সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চর জাজুরিয়া গ্রামের মৃত মুছা বেপারীর ছেলে। ম্যানেজারের প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে মিল মালিক মনজেল হোসেন সিরাজগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

 

 

 

 

 

 

জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার ভুমরিয়া গ্রামের মোকলেসুর রহমানের ছেলে মনজেল হোসেন রাইসমিল ব্যবসায়ী। ভুমরিয়া গ্রামে ভাই ভাই অটো রাইসমিল নামে তার একটি কারখানা রয়েছে। তাদের গ্রামের পাশে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চর জাজুরিয়া গ্রাম। ওই গ্রামের মৃত মুছা বেপারীর ছেলে মো. বাবর আলীকে তিনি রাইসমিলের ম্যানেজার নিয়োগ করেন। অটোরাইস মিলের অফিস ঘরটি নদী ভাঙনের শিকার হলে ম্যানেজার বাবর আলীর পরামর্শে তার বাড়ি থেকে অস্থায়ীভাবে অফিসের কাজকর্ম পরিচালনা করা হচ্ছিল।

 

 

 

 

 

এই সুযোগে ম্যানেজার বাবর আলী রাইসমিলের মালিক মনজেল হোসেনের ব্যবহৃত চৌহালী উপজেলার খাষ কাউলিয়া শাখার সোনালী ব্যাংক পিএলসির হিসাব নম্বর ৪২০৮৫৩৩০০০৯৭৫ এর বিপরীতে দেওয়া চেক নং ০৬৪৪৭৬১-০৬৪৪৮৬০ পর্যন্ত ১০০পাতা, ৯৬৬৩৭৭১-৯৬৬৩৮৪৪ পর্যন্ত ৭৪ পাতা, ৯৬৬৩৮৭১-৯৬৬৩৯২৯ পর্যন্ত ৫৯ পাতা, ২৬৯৫৯১-২৬৯৫২৫ পর্যন্ত ৩৫ পাতা, ২৬৯৬৩১-২৬৯৬৮০ পর্যন্ত ৫০ পাতা, ৮৬৪১০৯১-৮৬৪১১০০ পর্যন্ত ১০ পাতা, ৬৫৮১৮০১- ৬৫৮১৮৫০ পর্যন্ত ৫০ পাতা, ১৩২৩০১-১৩২৩৫০ পর্যন্ত ৫০ পাতা, ৫৯৭৬৮৫১-৫৯৭৬৯০০ পর্যন্ত ৫০ পাতা, ৫৪৪৫৯০১-৫৪৪৫৯১০ পর্যন্ত ১০ পাতা এবং ১৭৯৭৭৫১-১৭৯৭৮০০ পর্যন্ত ৫০ পাতা সাক্ষরিত ও অসাক্ষরিত চেকের পাতা প্রতারণার কৌশল হিসেবে চুরি করে।

 

 

 

 

পরে একই উপজেলার চর জাজুরিয়া গ্রামের আনোয়ার খাঁর ছেলে ধান ব্যবসায়ী মো. শাজাহান সরদার ও তার ছেলে মো. শরীফ সরদার এবং ম্যানেজার বাবর আলী পরস্পর যোগসাজসে মনজেল হোসেনের চেক ব্যবহার করে ৪২ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে যান। ব্যাংক ম্যানেজারের সন্দেহ হলে বিষয়টি মনজেল হোসেনকে জানালে প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়।

 

 

 

 

 

 

 

ওই ঘটনার পর রাইসমিল মালিক মনজেল হোসেন কারখানার ম্যানেজার বাবর আলীর কাছে তার চেকবই ও পাতাগুলো ফেরত চাইলে বাবর আলী সেগুলো দিতে অস্বীকার করে। উল্টো উল্লেখিত ধান ব্যবসায়ী শাজাহান সরদার ও তার ছেলে শরীফ সরদারকে দিয়ে ভয়-ভীতি দেখায় এবং ওই চেক ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করবে বলে জানায়।

 

 

 

 

 

 

 

ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলে চেকগুলো ডিজঅনার করে টাকার দাবিতে এনআই অ্যাক্টে আদালতে মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে অটোরাইস মিলের মালিক মনজেল হোসেন সিরাজগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা(৩২/২০২৫ইং) দায়ের করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

ভাই ভাই অটোরাইস মিলের ম্যানেজোর বাবর আলী জানান, অটোরাইস মিল মালিকের কথার বাইরে কোন চেক ধান ব্যবসায়ী শাজাহান সরদার বা অন্য কাউকে তিনি দেন নাই। তিনি কোন চেক গোপনও করেন নাই। কোন চেক বা চেকের পাতা হারানোর কথা সঠিক নয়।

 

 

 

 

 

 

 

ধান ব্যবসায়ী শাজাহান সরদার জানান, ২০২২ সালে নাগরপুরের খোরশেদ মার্কেটে অটোরাইস মিল স্থাপন করার সময় মনজেল হোসেন তার কাছ থেকে ৪২ লাখ টাকা হাওলাত নেন। সময় মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় তাকে ৪২ লাখ টাকার একটি চেক দেন। পাওনা টাকা না পেয়ে গত সপ্তাহে তিনি চেকটি খাষ কাউলিয়া শাখা সোনালী ব্যাংক থেকে ডিজঅনার করিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

সোনালী ব্যাংকের খাষ কাউলিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ী মনজেল হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। চেকের বিষয়ে অফিস চলাকালিন সময়ে নথি দেখে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়