প্রথম পাতা / অপরাধ /
টাঙ্গাইলে ১৯টাকা কেজি দরে জিআর চালের দাম নির্ধারণ!
By দৃষ্টি টিভি on ২ অক্টোবর, ২০১৯ ৯:৫৩ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে আসন্ন দুর্গোৎসবে প্রতি মণ্ডপে সকারের দেয়া জিআর প্রকল্পের চাল খোলা বাজারে প্রতিকেজি ১৯টাকা দরে বিক্রির আহ্বান জানিয়েছেন টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের এমপি মো. ছানোয়ার হোসেন। মঙ্গলবার(১ অক্টোবর) বিকালে সদর উপজেলার ১৪১টি মণ্ডপের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের হাতে জিআর চালের ডিও তুলে দেয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকালে জিআর চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান আনছারী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা নবীন, গালা ইউপি চেয়ারম্যান রাজকুমার সরকার, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় লাল গৌড় ও সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার দাস প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার পূজা মণ্ডপগুলোতে ভাল চাল দিয়েছেন। আপনারা প্রতি মণ্ডপে ৫০০কেজি করে চাল পাবেন। যে চাল আপনারা পাচ্ছেন এই চাল বাইরে কারো কাছে বিক্রি করতে গেলে ১৪-১৫টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন বা দাম বলবে। সেটা না করে এই চাল আপনারা নিয়েও যেতে পারেন আবার এখানে(বিতরণ অনুষ্ঠানে) পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি উদয় লাল গৌড় ও সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার দাস রয়েছেন। তাদের কাছে আপনাদের চালের ডিও দিয়ে প্রতিকেজি ১৯ টাকা দরে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যেতে পারেন।
অনুষ্ঠানে পূজা মণ্ডপের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা পক্ষের লোকজন এসে ডিও সংগ্রহ করেন। পরে এমপি’র বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উদয় লাল গৌড় এবং দিলিপ কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা চাল বরাদ্দ পাওয়া মণ্ডপের লোকজনদের কাছ থেকে ডিও সংগ্রহ করে টাকা দিয়ে দেন। তবে ১৯টাকা কেজি দরে জিআর প্রকল্পের ৫০০কেজি চালের দাম ৯ হাজার ৫০০টাকা হলেও বিক্রেতাদের ৯ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করা হয়।
অতুল নামে এক ব্যক্তি জানান, এমপি ও পূজা উদযাপন কমিটির সিন্ডিকেটের কারণে বাইরে চাল বিক্রি করা যায় না। আর চাল বিক্রি না করেও উপায় নেই। কারণ এই চাল নিতে অনেক ঝামেলা, খাওয়ারও প্রায় অনুপযুক্ত। সিন্ডিকেটের কারণে একই চাল বছরের পর বছর গোডাউনে পড়ে থাকে। তিনি বলেন, এই চাল তারা কিনে রাখল। আবার এই চালই তারা সরকারের কাছে আগামিতে ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে। সরকার আবার এটাকে না জেনে সাধারণের জন্য বরাদ্দ দিবে। আবার তারা কিনে রাখবে।
এ বিষয়ে পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার দাস বলেন, বাইরে এই চাল ১৪-১৫টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। তার চেয়ে এমপি মহোদয় ১৯টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করার কথা বলেছেন। এখানে আমরা গড়ে ৫০০টাকা কম দিচ্ছি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
গণপিটুনির বিষয়ে সংবিধান ও আইনে কী বলা আছে?
-
দেশের চাঁদাবাজদের সমূলে ধ্বংস করা হবে :: শাকিল উজ্জামান
-
এলেঙ্গায় ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
ধনবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
-
নাগরপুর চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
-
ঘাটাইলে বন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
-
টাঙ্গাইল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বেনজীর আহমেদ টিটো
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম