প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
টাঙ্গাইলে নির্মাণের আগেই সাড়ে তিন কোটি টাকার সেতুতে ধ্বস
By দৃষ্টি টিভি on ১৭ জুন, ২০২২ ৭:২৪ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য সেতুর মাঝখানে দেবে গেছে। বৃহস্পতিবার(১৭ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল-বেড়াডোমা-ওমরপুর সড়কের বেড়ডোমা এলাকার লৌহজং নদীর উপর নির্মিতব্য সেতুটি দেবে যায়। নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই সেতুটি দেবে যাওয়ায় ওই সড়ক ব্যবহারকারীদের আরও দুর্ভোগ বেড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর গাফিলতিতে সেতুটি নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেছে। পৌরসভার প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে বলে জানান।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় টাঙ্গাইল পৌরসভা সেতুটির কাজ বাস্তবায়ন করছে। আট মিটার প্রস্থ ও ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ব্রিক্সস অ্যান্ড ব্রিজ লিমিটেড এবং দি নির্মিতি নামে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন শুরু করে।
চলতি বছরের ১১ মে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গত সপ্তায় সেতুর উপরের অংশে পৌরসভার প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে ঢালাই করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেতুর সেণ্টারিংয়ের সাটারিং সরে গিয়ে মাঝখানে সাড়ে তিন ফুট দেবে যায়। ফলে নির্মাণকৃত সেতুটি কোন কাজেই আসছে না। এতে এক দিকে সরকারের সাড়ে তিন কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ আরও কয়েকগুন বেড়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লৌহজং নদীর মাঝখান থেকে গাছ ও বাঁশের পাইল সরে গেছে। সেতুর মাঝ খানে দেবে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন ভিড় করেছে। কয়েক জন শ্রমিক সেতু নির্মাণে কাজ করছে। দেবে যাওয়া স্থান পৌরসভার প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দার হাফিজুর রহমান, খোরশেদ আলম, কাশেম মিয়া ও পথচারী আজাদ মিয়া জানান, ইতোপূর্বে ওইস্থানে যে বেইলি ব্রিজ ছিল- সেটিও দুই বার ভেঙে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুটি দেবে গেছে। পার্ক বাজার থেকে বাজার করে নিজেকেই বহন করে আনতে হয়। কোন রিকশা আসা-যাওয়া করেনা। দুই বছরের অধিক সময় ধরে জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোলায়মান হাসান জানান, সেতুর নির্মাণ কাজ অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পায়। স্থানীয় এমপি প্রভাব খাটিয়ে কাজটি হাতিয়ে নেন।
পরে তার কর্মী আমিরুলসহ অনুসারীদের কাজটি দিয়েছেন। যারা কখনও সেতু নির্মাণ করা দেখে নাই তারা সেতু নির্মাণ করবে কিভাবে? এটা দুঃখজনক। সরকারি অর্থের অপচয় করার জন্য বাস্তবায়নকারীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোক আমিরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকার। তবে জামিল ভাই সহ কয়েক জনে বাস্তবায়ন করছে। তার নেতৃত্বে কোন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
মির্জাপুরে সাপের ছোবলে দুই নারীর মৃত্যু
-
ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যা :: গ্রেপ্তারকৃত জালালের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় এলাকাবাসী
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যের যোগদান
-
গণপিটুনির বিষয়ে সংবিধান ও আইনে কী বলা আছে?
-
দেশের চাঁদাবাজদের সমূলে ধ্বংস করা হবে :: শাকিল উজ্জামান
-
এলেঙ্গায় ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
-
ধনবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
-
নাগরপুর চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন