আজ- বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | রাত ১:৩৫
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

টাঙ্গাইলে ৭০ শতাংশের উপরে ভোট :: চার ইউপিতে আ’লীগ দুই ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী নির্বাচিত

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নবম ধাপের নির্বাচনে দুইটিতে আওয়ামী লীগ ও দুইটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ জুলাই ) রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজমূল ইসলাম সাক্ষরিত বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। ভোটগ্রহন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ায় নির্বাচনে ৭০ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছে।


টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন খান ৭ হাজার ৫৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার সুমন আহমেদ ৬ হাজার ৩৪৮ ভোট পেয়েছেন।

মাহমুদনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসলাম হোসেন শিকদার আনারস প্রতীকে দুই হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম পান দুই হাজার ৭৪৬ ভোট এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহাদত হোসেন সাজ্জাদ পেয়েছেন দুই হাজার ৪৯৯ ভোট।

ছিলিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজায়েত হোসেন চশমা প্রতীকে পাঁচ হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম রেজা পেয়েছেন দুই হাজার ৫০৬ ভোট এবং আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট হানিফ মিয়া পেয়েছেন দুই হাজার ৪৪৫ ভোট।

কাকুয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান খান ফারুক ৭হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. খাদেমুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ২৭৭ভোট।


এর আগে ইভিএম পদ্ধতিতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিলিমপুর, কাকুয়া, কাতুলী ও মাহমুদনগর ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চারটি ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিল ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন। শতকরা ৭০ ভাগের উপরে ভোট পড়েছে।


জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নবম ধাপের ওই চার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে ১৩২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি থাকায় কিছু কিছু কেন্দ্রে নিদিষ্ট সময়ের পরেও ভোট গ্রহণ চলে।


তিনি জানান, নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চারজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আট জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪৯০জন পুলিশ সদস্য, ৫০ জন র‌্যাব সদস্য এবং দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়