আজ- বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | সকাল ১১:০৯
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ

দৃষ্টি নিউজ:

যানজট বিহীন বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ভোগান্তির মধ্যে এক প্রকার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার মানুষ। মঙ্গলবার(২৭ জুন) সকালের দিকে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তবে মহাসড়কে গাড়ির চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও যানবাহনের ধীরগতি ছিল। এরইমধ্যে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার ও তার টীম মহাসড়কে যান চলাচল পরিদর্শন করেন।


ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এজন্য এলেঙ্গা ও ভূঞাপুর লিংক রোডে দুটি পর্যক্ষেণ রুম স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সার্বক্ষণিক মহাসড়কের উপর নজর রাখছেন।


মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার ও তার টীম মহাসড়ক পরিদর্শনকালে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ১৩৭টি সিসি ক্যামেরায় মহাসড়কের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল হাশেম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংবাদকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।


এদিকে, সোমবার (২৬ জুন) রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর পরপর দুই বার একটি পরিবহনের সঙ্গে আরেকটি পরিবহনের সংঘর্ষ হয়। এছাড়া একটি পরিবহন বিকল হয়। এতে রাত ৩টার পর ১০-১২ মিনিট, ৪টার পর প্রায় ১ ঘণ্টা ও ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়।

ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে উত্তরাঞ্চলগামী পরিবহনের দীর্ঘ লাইন, ধীরগতি ও কোন কোন সময় যানবাহন চলাচল স্থির হয়ে পড়ে। এতে মঙ্গলবার সকালে ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। একই সঙ্গে বৃষ্টি যুক্ত হয়ে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।


মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে। মহাসড়কে আগের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের সংখ্যা বেশি বেড়েছে। যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ট্রাক, মাইক্রোবাস, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের চাপ বেড়েছে। এ সব যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। অনেকে সিএনজি বা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে চলাচল করছে। বিশেষ করে পরিবার ছাড়া যাত্রীরা বাস না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি ফিরছে।


টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। মহাসড়ক ঘেষা ২৭টি গরুর হাট অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


প্রকাশ, ঈদুল ফিতরের ন্যায় বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ঈদুল আজহার যাত্রাও নির্বিঘ্ন রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এরমধ্যে রয়েছে- বিকল হওয়া যানবাহন দ্রুত সরিয়ে নেওয়া, নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায়ে সেতুর টোলপ্লাজা বাড়িয়ে ৯টি করা, ফিটনেস বিহীন যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, পশুবাহী ট্রাকগুলো নির্দিষ্ট স্থানের আগে না থামানো, টাঙ্গাইল অংশে মহাসড়ক ঘেষা গরুর হাট অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া, বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা, ঢাকাগামী পরিবহণগুলো সেতুর পূর্বপাড় গোলচত্ত্বর থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা লিংক রোড ব্যবহার করা ইত্যাদি।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়