আজ- বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | দুপুর ১:২২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

৩৬ জুলাই : প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা

মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল:

২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ইতিহাসের এক রক্তাক্ত গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বছরের পর বছর জমতে থাকা জনরোষ, ছাত্র-জনতার বারুদের স্তূপ, রাষ্ট্রের ফ্যাসিস্ট দমননীতির বিরুদ্ধে দেশের আনাচে-কানাচে চেপে রাখা ক্রোধ- সবকিছু একসাথে বিস্ফোরিত হয় ‘৩৬ জুলাই’-এ। যদিও ক্যালেন্ডারে ৩৬ জুলাই বলে কোনো দিন নেই, তবুও বাংলার ছাত্র সমাজ এই নামেই অভিহিত করেছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টকে- যেদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন চরম কর্তৃত্ববাদী সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়। দিনটিতে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত হয় এবং শেষমেশ তিনি দেশত্যাগ করেন। এই দিনটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অঙ্গনের জন্য যেমন গৌরবময়, তেমনি এটি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিবর্তনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রতীকও বটে। কিন্তু সেই বিপ্লবী দিনের পর এক বছরেই সাধারণ জনগণের মুখে না পাওয়ার বেদনা বা স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার হতাশা স্পষ্ট হয়ে ওঠছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

২০২৪ সালের জুলাই মাস জুড়ে দেশজুড়ে ছিল ছাত্র আন্দোলনের দাবানল। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে, পুলিশি দমন-পীড়নের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এমনকি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে শরিক হয়। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, সাধারণ জনগণও তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। মিটিং, মিছিল, সমাবেশ, দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা- এসবই ছিল আন্দোলনের কর্মসূচি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমাগত লোডশেডিং, মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি ও দলীয় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনগণ। অবশেষে ৫ আগস্ট (যা ‘৩৬ জুলাই’ নামে পরিচিতি পায়) দুপুরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হেলিকপ্টারে দেশত্যাগ ও ভারত অভিমুখে প্রস্থান সরকার পতনের প্রতীক হয়ে ওঠে। চরম দুর্বিনীত শাসক শেখ হাসিনার পতনে জনগণ আশা করেছিল- দমন-পীড়ন ও মিথ্যা মামলার অবসান হবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন হবে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ন্যায্য বাজার ব্যবস্থা হবে, বৈষম্যহীনভাবে তরুণদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষা সংস্কার হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান থাকবে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন হবে, রাজনৈতিক সহনশীলতা ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন থাকবে এবং ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী দমনচক্রের অবসান হবে ইত্যাদি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

২০২৪-এর ৮ আগস্ট দেশের বুদ্ধিজীবী, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সমর্থনে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে শুরু থেকেই অপ্রস্তুত, বিভক্ত ও জনবিচ্ছিন্ন ছিল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তথা উপদেষ্টারা। বেশিরভাগ সদস্য ছিল এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ডের- তাদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছিল না। ইউরোপ-আমেরিকা ঘনিষ্ঠতা থাকলেও মাটি-মানুষের দাবির সাথে ছিল না যোগসূত্র। এ কারণেই অল্পদিনের মধ্যেই প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো সমর্থন প্রত্যাহারের কথা খুুলে বলেনি। কিন্তু ‘সুশাসনের নামে হাফ-ফ্যাসিজম’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

তারপরও ড. ইউনূসের নেতৃত্বে কিছু তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ জনগণের আশাবাদের জায়গা তৈরি করেছিল। যেমন- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, কয়েক হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দুর্নীতিবাজ আমলাদের বদলির প্রক্রিয়া ইত্যাদি। রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছিল। তবে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে সময় লাগেনি। ড. ইউনূসের সরকারকে ঘিরে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল তা ৬ মাসের মধ্যেই প্রায় ভেঙে পড়ে। মানুষ বলতে শুরু করে- ‘ফ্যাসিবাদ গেলো ঠিকই, কিন্তু গণতন্ত্র এখনো আসেনি’। দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়, আইনি নিরাপত্তাহীনতা ও মব সন্ত্রাস, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, আস্থার সংকট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক সহিংসতা ও দমননীতি এবং আন্তর্জাতিক চাপ ও দ্বৈত নীতি সরকারকে জনআকাঙ্খাপূরণে ব্যর্থতায় ফেলে দিয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাসের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী- চালের দাম ২০২৪ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, ডিম, গ্যাস, বিদ্যুৎ- নিত্যপ্রয়োজনীয় সব খাতেই মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ইইঝ) তথ্যমতে গত জুনে মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.৩৪ শতাংশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

২০২৫ সালের জুন মাসে প্রকাশিত সার্ক মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে- গত এক বছরে ড. ইউনূস সরকারের শাসনকালেই সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে দেখা দেয় ‘মব জাস্টিস’, পাড়া-মহল্লাভিত্তিক গ্যাং কালচার ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত চাঁদাবাজি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে মব লিঞ্চিং ঘটেছে ২৩৮টি। চাঁদাবাজি ও জবরদখল সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৪,১০২টি- যার মধ্যে ৭৪ শতাংশ অভিযোগই তদন্তাধীন। ঢাকার ২৩টি মার্কেট ও বাসস্ট্যান্ডে আগের তুলনায় ২০০% বেশি চাঁদা আদায় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতি সূত্র)। মামলাবাণিজ্য বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে- বিশেষ করে দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ ও এর সাবেক জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। এসব মামলা প্রত্যাহার বা মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়ার প্রতিশ্রæতিতে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। ফলে এসব মামলা সমাজে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। প্রথম ৯ মাসে প্রত্যাশিত ১০ লাখের পরিবর্তে বাস্তবে মাত্র ২.৬ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এ সময়ে শিক্ষিত বেকার যুবকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৭ লাখে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার নিজের মধ্যে দ্ব›েদ্ব জর্জরিত। সিভিল প্রশাসনের একাংশ এখনো সাবেক রাজনৈতিক শক্তির প্রতি অনুগত। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে নানা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ধীরগতি ও গোপন প্রতিরোধ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্তর্র্বর্তী সরকার গঠনের পরও রাজনৈতিক সহিংসতার ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়নি। বরং তা নতুন চেহারা পায়। বিভিন্ন এলাকায় ভিন্নমতাবলম্বীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে ‘অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী’ বা ‘তৌহিদী জনতা’র মাধ্যমে। জনসাধারণ, পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশে পুলিশি গুলি অব্যাহত থেকেছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে ফেরার পর হয়রানির শিকার হয়েছেন। এই সময়ের অন্যতম উদ্বেগজনক দিক হলো- দমননীতির বহুমুখী প্রসার। একটি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও এর ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

এছাড়া সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এমনকি শিল্পী ও সাহিত্যিকরাও সরকারের অপ্রিয় সমালোচনায় হয়রানির মুখে পড়েছেন। মিডিয়া হাউজগুলোকে ভিন্নকৌশলে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিল করা হলেও তার পরিবর্তে অনুরূপ ‘সাইবার ন্যাশনাল সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ আনা হয়েছে- যা নতুন করে মতপ্রকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা চলে, দমননীতি এখন আর খোলামেলা ‘লাঠিচার্জ’ নয় বরং সাইবার নজরদারি, ডিজিটাল হয়রানি এবং পৃষ্ঠপোষক মিডিয়ার অপপ্রচারের মাধ্যমে আরও সূ² ও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সুশাসনের জন্য অস্থায়ী নয় প্রতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। জনগণ শুধু সরকারের পরিবর্তন চায় না, চায় গণতান্ত্রিক ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান। এর জন্য বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতা, পুলিশ বাহিনীর রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ বিশেষভাবে জরুরি। তারপরও দেশকে এসব সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদিও ২০২৬ এর ফেব্রæয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। কিন্তু সরকারের কার্যক্রম ও সরকারের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মতৎপরতায় তা গুড়েবালি মনে হচ্ছে। কেন যেন মনে হচ্ছে সরকার নির্বাচন পেছানোর পথে হাঁটছে।

 

 

 

 

 

 

এজন্য সরকার নানা কারণ সৃষ্টি করতে পারে- সে সক্ষমতা অবশ্য তাদের আছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে যদি সহিংসতা বাড়ে, তখন ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অক্ষমতা দেখিয়ে ফেব্রæয়ারির সম্ভাব্য নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে। নির্বাচন পেছাতে ভোটার তালিকায় গরমিল বা প্রশিক্ষণজনিত ঘাটতি- এসবও কারণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এছাড়া বন্যা, মহামারি বা অন্য কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগে নির্বাচন স্থগিত রাখার নজির অতীতেও রয়েছে।

 

 

 

 

 

 

তারপর রয়েছে মুসলমানদের ত্যাগের মাস মাহে রমজান। সামান্যতম অজুহাত তৈরি হলেই এ সরকার নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেবে। যতই আইন, যুক্তি বা অজুহাত থাকুক- আসল বিষয় একটাই, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো যৌথ কাঠামোয় একমত হয় কি না। ২০২৬ সালের ফেব্রæয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না- এই প্রশ্নের জবাব এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এটি স্পষ্ট যে নির্বাচন পেছানোর ‘যুক্তি’ তৈরি করাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকা বড় কৌশল হতে পারে। সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে, বাংলাদেশে নির্বাচন সময়মতো হওয়া মানেই গণতন্ত্রের বিজয় নয় আর নির্বাচন পেছানো মানেই তা বিপর্যয়ও নয়। বিজয় আসবে তখনই, যখন রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ম্যান্ডেটকে শ্রদ্ধা করবে এবং সহিংসতাকে নয়, সমঝোতাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেবে।

 

 

 

 

 

 

যদি সময়মতো গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন না হয়, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন স্বচ্ছ না হয় আর দুর্নীতি-দমননীতি বন্ধ না হয়- তবে ৩৬ জুলাই হয়তো ইতিহাসে নতুন করে ব্যর্থ গণআন্দোলনের অধ্যায় হিসেবেই লেখা থাকবে। ‘৩৬ জুলাই’ ছিল এক গর্বিত বিজয়, এক ফ্যাসিস্ট পতনের দিন। কিন্তু তা কেবলই এক অধ্যায়ের সমাপ্তি- Not the end of struggle, but the beginning of a bigger dream. শেখ হাসিনা সরকারের পতন যতটা গৌরবের, ততটাই হতাশাজনক হয়েছে তার পরবর্তী অধ্যায়। আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- এই রক্তপাত ও আন্দোলনের ফসলকে যেন কোনো ষড়যন্ত্র পুনরায় গ্রাস না করে। অন্তর্র্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে, জনগণের ক্ষোভ আরও একবার বিস্ফোরিত হবে। তাই সময় এখন জেগে ওঠার, যেন ‘৩৬ জুলাই’ শুধুই একটি তারিখ না হয়ে ওঠে- হয়ে ওঠে গণতন্ত্রের স্থায়ী বিজয়ের প্রতীক।

 

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়