আজ- বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | দুপুর ১:০০
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

সওজ’র অসহযোগিতার প্রতিবাদে ব্যক্তি উদ্যোগে মহাসড়ক সংস্কার!

কালিহাতী প্রতিনিধি:

যমুনাসেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ঢালাই করা তিনশ’ মিটার সড়ক ভেঙ্গে রড বের হওয়ায় টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের(সওজ) বার বার সুরাহা চেয়ে না পেয়ে প্রতিবাদ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে ওই অংশ ঢালাই করে দিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক এমএ রাজ্জাক। শনিবার(১৬ আগস্ট) সকালে মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তিনটি ভাঙা অংশের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়।

 

 

 

 

 

উদ্যোক্তা এমএ রাজ্জাক জানান, এ মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক। এ মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের তিন স্থানে ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও এ মহাসড়ক মেরামত করা হয়েছে। মেরামতের এক দিন পরই আবার ভেঙে যায়। তারপর থেকে সড়ক বিভাগের(সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বার বার ফোন দিলেও নির্বাহী প্রকৌশলী ধরের নাই। তারই প্রতিবাদ হিসেবে নিজ উদ্যোগে মহাসড়কে ভাঙা অংশে মেরামত কাজ শুরু করেছেন। স্থায়ীভাবে না পারলেও রডের আঘাত থেকে পথচারী ও পরিবহন চালকদের বাঁচাতে তিনি ওই উদ্যোগ নিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

পথচারী আতিক জানান, তিনি সড়কটি ভাঙে যাওয়ার খবর শুক্রবার(১৫ আগস্ট) ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন। তিনি জানতে পারেন শনিবার সকলের সহযোগিতায় ওই ভাঙা অংশ সংস্কার করা হবে। তাই দেখতে তিনি উপস্থিত হয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে শুক্রবার(১৫ আগস্ট) একাত্তর টিভির সাংবাদিক এমএ রাজ্জাক টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পুলিশের সহায়তার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছিলেন। আবেদনের কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইলের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(টিআই) হারুনুর রশিদ বলেন, সাংবাদিক রাজ্জাক ভাই সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে এ কাজটি করছেন। মহাসড়কের ওই অংশ মেরামতের জন্য আমরাও সড়ক বিভাগকে জানিয়েছি। তারা সংস্কার করে দেওয়ার কথা বলেছিল। পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করার পরিপেক্ষিতে আমরা সংস্কার কাজের স্থানে উপস্থিত হয়েছি। তবে রাজ্জাক ভাই যে কাজটি করছে সেটি নিঃসন্দেহে ভালো কাজ।

 

 

 

 

 

 

 

 

টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. খায়রুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের ওই অংশটি যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ দেখভাল করে থাকে। যেহেতু ওই অংশটি সেতু কর্তৃপক্ষের সুতরাং সেতু কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থা নেবে- ওখানে সড়ক বিভাগের কাজ করার সুযোগ নেই।

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়