আজ- সোমবার | ১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | রাত ১০:৫২
১৭ নভেম্বর, ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

শেখ হাসিনা ও কামালের ফাঁসির আদেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়

দৃষ্টি রিপোর্ট:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলার অন্যতম আসামি ও রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সাজা কমিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

রায় ঘোষণার সময় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে পলাতক আসামিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল রায়ের দিন নির্ধারণের জন্য সময় রেখে দেন। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রসিকিউশনের পক্ষে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে আসামিপক্ষে বক্তব্য দেন আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

 

 

 

 

 

 

 

যুক্তিতর্কে প্রসিকিউশন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে। অপরদিকে তিন দিনব্যাপী যুক্তি উপস্থাপন শেষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী তার মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে খালাস কামনা করেন। তিনি সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে যুক্তি খণ্ডন করেন এবং রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, মাহমুদুর রহমান, নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজনের সাক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরবর্তীতে রাজসাক্ষী মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদও তার বক্তব্য পেশ করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গত ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি আদালতে বলেন, আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ সত্য এবং তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে সহায়তা করতে আগ্রহী।

 

 

 

 

 

 

 

অভিযোগ গঠনের সময় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আসামিদের অব্যাহতির আবেদনও খারিজ করা হয়।

 

 

 

 

 

এই মামলায় তিনজন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ রয়েছে মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠায়। এর মধ্যে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায় শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত।

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়