দৃষ্টি নিউজ:

যমুনাসেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কে একটি পামওয়েল বোঝাই ট্রাকের গতি রোধ করে ডাকাত সন্দেহে শটগানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে যমুনা সেতু পূর্ব থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে তাদের নামে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনাগামী পামওয়েল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-৭৫৭৯) মহাসড়কের হাতিয়া নামক স্থানে পৌঁছলে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি (ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-৫৪৮৬) এবং একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৭৬৯৯) দিয়ে ট্রাকটির গতিরোধ করা হয়। বিষয়টি টহল পুলিশের নজরে এলে তারা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এক পর্যায়ে সন্দেহ হলে প্রাইভেট কার ও পাজেরো গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানোকালে একটি লাইসেন্সকৃত শটগান, ছয়টি সিসার কার্তুজ, একটি লেজার লাইট, দুটি সিগন্যাল লাইট, চারটি শট ওয়াকিটকি ও দুটি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়। পরে তিনটি গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- পাবনা সদর উপজেলার চকধুবুলিয়া গ্রামের আকবরের ছেলে আকাশ মিয়া (২৫), ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল (৩৪), পাবনা সদর উপজেলার নয়নামতি গ্রামের রেজাউলের ছেলে রহিম (১৯), চট্টগ্রাম জেলার আকবরশাহ উপজেলার লতিফপুর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩০), একই জেলার কর্ণফুলী উপজেলার বাবুল লালের ছেলে সুমন মিয়া(৩৫) ও পাবনা সদর উপজেলার রাধানগর চক জায়েনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন(৩০)।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সবজেল হোসেন জানান, হাইওয়েতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঝুঁঁকি মোকাবিলায় তারা টহল জোরদার রেখেছেন। এরই অংশ হিসেবে সোমবার ভোরে মহাসড়কে সন্দেহজনকভাবে চলাচল করায় তিনটি গাড়ি থামানো হয়। তল্লাশিতে একটি প্রাইভেট কার ও একটি পাজেরো গাড়ি থেকে শটগান, কার্তুজ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার হওয়ায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
