দৃষ্টি নিউজ:
ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম এমপি বলেছেন, ’৭১ এর মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল অপশক্তি রুখে দিতে হবে। নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করা সম্ভব। তিনি শুক্রবার (১৪ জুলাই) দিনব্যাপী টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আগদিঘুলিয়া, ঘোনাপাড়া, কুমুল্লির ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আগদিঘুলিয়ার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পৌঁছলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেই ধলেশ্বরী নদীতে এখন এত ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উদ্দেশে বলেন, আমরা যদি ’৭১ সালে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাকিস্থানী হায়েনাদের রুখতে পারি তাহলে এখন আমরা বালু খেকোদের কেন রুখতে পারবো না? তিনি দ্রুত ভাঙ্গন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। ভবিষ্যতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করে এখানে এক কি.মি. বাধের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। তিনি নদী তীরবর্তী মানুষকে ভীত না হয়ে মনে সাহস নিয়ে সকলে মিলে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পরামর্শ দেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক আব্দুস সবুর, পাকুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, মোকনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াজেদ কাজী, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক ফজল, যুগ্ন-সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যমুনা-ধলেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগরপুরের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ভারড়া, মোকনা, সহবতপুর, দপ্তিয়র, পাকুটিয়া ইউনিয়নের ২০-২২ টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।