আজ- মঙ্গলবার | ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | বিকাল ৫:০১
১৮ নভেম্বর, ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

মির্জাপুরে পুলিশ ‘চাওয়া-পাওয়া’ নিয়ে ইউএনও-ওসির বক্তব্যে গরমিল!

দৃষ্টি নিউজ:

বাল্য বিয়ের শিকার দুই শিক্ষার্থী

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের নজরে আসার পরও দু’দিনে দুই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ বাল্যবিয়ে দুটি সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন বলেন, থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ চেয়ে না পাওয়ায় বিয়ে বাড়িতে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
বাল্য বিয়ের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী হচ্ছেন, মির্জাপুর উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী রুমা আক্তার ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মোছা. শিমলা আক্তার।
জানা যায়, গত শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শিমলা আক্তারের উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ঘুগী গ্রামের আজগর আলী শিকদারের ছেলে সেলিম আল মামুনের সঙ্গে বিয়ে হয়। শনিবার(২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঘুগী গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তাকে আনার(ফিরানী) জন্য পরিবারের সদস্যরা যান।
গত বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) উপজেলা সদরের বাইমহাটী গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে মো. বাতেন মিয়ার সঙ্গে রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) রুমা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যায়।
আটিয়া মামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভর্তি রেজিস্ট্রার অনুযায়ী রুমার জন্ম তারিখ ২০০২ সালের ২৫ জুলাই। তবে আনাইতারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া ছাত্রীটির জন্ম নিবন্ধনের সনদে (নম্বর ১৯৯৯৯৩১৬৬১৫০১৪০৫৯) রয়েছে ৩ জুলাই ১৯৯৯।
রুমার মা রিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ নিয়ে টাঙ্গাইলে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করেছেন।
বিদ্যালয়ের ভর্তি নিবন্ধন খাতায় শিমলার জন্ম তারিখ ৭ আগস্ট ২০০৪ থাকলেও বিয়ের কারণে জন্ম নিবন্ধন সনদে ১১ মার্চ ১৯৯৯ উল্লেখ করা হয়েছে। শিমলার মা সেলিনা বেগম বলেন, মেয়ে বড় হয়েছে। সেজন্য মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, রুমাকে বিয়ে না দিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে তার অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা কথা দিয়েছিলেন, কিন্তু কথা রাখেননি। এছাড়া শিমলার কীভাবে বিয়ে হয়েছে তা তারা জানেন না।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার কাছে পুলিশ চাননি। তিনি অন্য মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে একজন অফিসারসহ পুলিশ দিয়েছিলেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন জানান, থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ চেয়ে না পাওয়ায় বিয়ে বাড়িতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমকে জানিয়েছিলেন।

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়