আজ- শুক্রবার | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ আশ্বিন, ১৪৩২ | রাত ৪:৪২
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ আশ্বিন, ১৪৩২
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন, ১৪৩২

করোনা ভাইরাস :: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! সতর্কতা জরুরি

দৃষ্টি ডেস্ক:

আপাত দৃষ্টিতে প্রতি ১০০ বছর পরে একটি করে মহামারীর পুনরাবৃত্তি ঘটে থাকে বলে ধারণা করা হয়। যেমন- ১৭২০ সালের প্লেগ, ১৮২০ সালের কলেরা, ১৯২০ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারী হয়েছে। সে অনুযায়ী এবারের আলোচিত-সমালোচিত ‘করোনা ভাইরাস’কেও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বলে অনেকে মনে করছেন।

চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া ‘করোনা’ও বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়ে পূর্বোল্লেখিত মহামারীগুলোর মত একই ধাঁচ অনুসরণ করে প্রাদূর্ভাব ঘটাচ্ছে। করোনার গতি-প্রকৃতি পর্যালোচনায় ইতিহাসের করুণ পুনরাবৃত্তি বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসটি মনুষ্য সৃষ্ট কোন ভাইরাস নয় বলে গবেষণায় প্রমাণিত হওয়ায় ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’ই বদ্ধমূল হচ্ছে।

১৭২০সালের মহামারী কলেরা: ১৭২০ সালে বুবোনিক প্লেগ বৃহৎ আকারের মহামারী ছিল। এটিকে মার্সেইয়ের দুর্দান্ত প্লেগও বলে। রেকর্ডগুলো দেখায়- ব্যাকটেরিয়া মার্সেইলে প্রায়েএক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। ধারণা করা হয়, এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত মাছি দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।

১৮২০ সালের মহামারী কলেরা: ১৮২০ সালে থাইল্যান্ডে কলেরা মহামারী প্রথম ধরা পড়েছিল। ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন সহ এশিয়ার দেশগুলোতে এটি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৮২০ সালে এই জীবাণুর কারণে এশিয়ায় এক লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। ১৮২০ সালের মহামারী দূষিত নদীর পানি খাওয়ার কারণে শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।

১৯২০ সালের মহামারী স্প্যানিশ ফ্লু: ১০০ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু দেখা দিয়েছিল। সে সময় লোকেরা এইচ 1 এন 1 ফ্লু ভাইরাসের সাথে লড়াই করেছিল। ক্রমাগত স্প্যানিশ ফ্লু জিনগত ভাবে পরিবর্তন হত, ফলে ভাইরাসটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছিল। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল এবং বিশ্বের ১০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

এবারের অর্থাৎ ২০২০ সালের মহামারীটি করোনা ভাইরাসজনিত রোগ ‘কোভিড-১৯’ । চিন থেকে শুরু হয়ে সারা বিশ্বে ‘মহামারী’ আকার ধারণ করেছে।

সচেতনতা বাড়িয়ে সতর্ক থাকার মাধ্যমেই এ মহামারী মোকাবেলা করার অন্যতম উপায় বলে মনে করছেন গবেষকরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার(১৯ মার্চ) এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রীর কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, করোনা বৈশ্বিক সমস্যা- এজন্য যা যা করার দরকার সবই করা হবে। অপ্রয়োজনীয় চলেফেরা কমিয়ে দিন। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া যাবে না। মানুষ যাতে আতংকগ্রস্ত না হয়ে সচেতন হয় এ বিষয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা জোরদার করতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। মানুষকে বুঝিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। অহেতুক প্যানিক ছড়ানো যাবে না।

সূত্র: ইন্টারনেট।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়