প্রথম পাতা / খেলাধুলা /
নাগরপুরে দপ্তরি হারুনের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত
By দৃষ্টি টিভি on ৫ জানুয়ারী, ২০২১ ৭:৫২ অপরাহ্ন / no comments
নাগরপুর প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বারাপুষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী হারুন অর রশিদ চাকুরির ছকবাঁধা দায়িত্বের বাইরে মনের মাধুরী মিশিয়ে কর্মক্ষেত্রকে রঙ-তুলির ছোঁয়ায় সাজিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই, নেই চিরচেনা কোলাহল। দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী হারুন অর রশিদ অলস সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের কর্মস্থলের বিদ্যালয়টিকে দিয়েছেন ভিন্নরূপ।
হারুনের হাতে-কলমে শিল্পকর্মে প্রশিক্ষিত নয়, শিক্ষা নেই কোন চিত্রকর্ম বা কারুকাজের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণও। তারপরেও তার রঙ-তুলির ছোঁয়ায় আঁকিবুঁকি করে অপূর্ব চিত্রকর্ম সৃষ্টি করেছেন।
বিদ্যালয়ের বাইরের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে শহীদ মিনার-স্মৃতিসৌধের ছবি, ভেতরের পরিবেশ আরও নয়নাভিরাম। নিজ হাতে তিনি বিদ্যালয়টিকে চমৎকার বাগানে রূপ দিয়েছেন।
বাংলার হৃদয়গ্রাহী অপূর্ব একটি মানচিত্র, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ সজ্জিতকরণ, জাতীয় সংসদ ভবন, শহীদ মিনার-স্মৃতি সৌধের আকৃতি তৈরি করে বিদ্যালয়টিকে তিনি এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন। তা হাতের সুনিপুন ছোঁয়ায় বিদ্যালয়ের ছাঁদে বাগান করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্লে-কর্ণারের সাজসজ্জাটিও তিনি নিজ হাতে করেছেন। এই অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত কাজগুলো হারুন অর রশিদ কর্মক্ষেতের প্রতি- বিদ্যালয়ের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা থেকে করেছেন। যা এখন অনেকের জন্যই দৃষ্টান্ত।
দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী হারুন অর রশিদ জানান, তিনি স্বপ্ন দেখেন তার বিদ্যালয়টি একদিন পড়ালেখা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয় হিসেবে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে।
মূলত: এলাকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতেই তার এ প্রচেষ্টা। গ্রামাঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পার্কে গিয়ে খেলাধূলা করার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় তিনি শিক্ষার্থীদের সে ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
হারুনের এ সৃজনশীল কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে নাগরপুর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিএম ফুয়াদ মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে কেউ মনের মাধুরী মিশিয়ে এমন সৌন্দর্যমন্ডিত কাজ করতে পারে না।
তার হাতের স্পর্শে যে কাজগুলো দৃশ্যমান হয়েছে তার প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে বিদ্যালয়ের প্রতি হারুনের সুগভীর প্রেম ও মমত্ববোধ।
হারুন সবার জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীরা বিদ্যালয়টি ঘুরে হারুনের কাজ দেখে উচ্ছ্বসিত।
তারা হারুনকে বাহবা দেওয়ার পাশাপাশি এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের নিজেদের বিদ্যালয়গুলো সাজানোর পরিকল্পনা নিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
-
ধনবাড়ীতে মে দিবসে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করার অভিযোগ!
-
টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৭ বছরেও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি
-
মহান মে দিবসে টাঙ্গাইলে আ’লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড গরমে জেলা আওয়ামী যুবলীগের ছাতা-পানি-বিস্কুট বিতরণ
-
এলেঙ্গায় মহান মে দিবস পালিত