প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
বাসাইলে ৫৪ লাখ ব্যয়ে নির্মিত সেতু উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ার আশঙ্কা!
By দৃষ্টি টিভি on ২১ জানুয়ারী, ২০১৮ ৬:৪৮ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি-ফুলবাড়িয়া রাস্তার নিকরাইল টেংরাখালী সেতুটি উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়ে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, খুবই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে সেতুটি উদ্বোধনের আগেই হেলে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এজন্য বাসাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়ী করছে স্থানীয়রা।
জানাগেছে, গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় মোট ১২৮টি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে বাসাইল উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি সেতু রয়েছে। সাতটি সেতুর মধ্যে চারটি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বাসাইলের ফুলকি ইউনিয়নের ফুলকি-ফুলবাড়িয়া রাস্তার নিকরাইল টেংরাখালী খালের উপর সেতু নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স আব্দুল্লাহ এণ্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৫৪ লাখ চার হাজর ৬৫০টাকা চুক্তিমূল্যে নির্মিত সেতুটির নির্মাণ কাজ তিন মাস আগে সমাপ্ত হয়। সেতুটি নির্মাণের সময়ই রড, সিমেন্ট ও বালুসহ খুবই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা মৌখিকভাবে একাধিকবার অভিযোগ করে বাসাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) সাখাওয়াত হোসেনের কাছে। কিন্তু ওই কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেননি।
স্থানীয় বাবুল মিয়ার অভিযোগ করেন, সেতুটি নির্মাণের সময় ঠিকাদারকে দেখা যায়নি। সে সময় ধান কাটা শ্রমিকদের দিয়ে সেতুর কাজ করাতে দেখা যায়। এসব অনিয়মের ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এলাকার অনেকেই একই অভিযোগ করে জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণেই সেতুটির এই অবস্থা। আশপাশের ১০-১৫ গ্রামের সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা একমাত্র ওই সেতু-সড়ক। সেতুটি হেলে গিয়ে ধসে পড়ার আশঙ্কায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা। তাদেরকে এখন প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানির ¯্রােতের কারণে সেতুটি হেলে পড়েছে। বিষয়টি উর্র্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উদ্বোধনের আগেই প্রায় ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি হেলে পড়ার বিষয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, সেতুটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রকল্প অফিসের প্রকৌশলীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গেছেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জাহিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার সম্পা তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
-
ধনবাড়ীতে মে দিবসে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করার অভিযোগ!
-
টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৭ বছরেও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি
-
মহান মে দিবসে টাঙ্গাইলে আ’লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড গরমে জেলা আওয়ামী যুবলীগের ছাতা-পানি-বিস্কুট বিতরণ
-
এলেঙ্গায় মহান মে দিবস পালিত