প্রথম পাতা / অপরাধ /
ভূঞাপুরে জন প্রতিরোধে কাজ বন্ধ ॥ সড়ক সংস্কারে দেড় কোটি টাকা হরিলুটের পায়তারা!
By দৃষ্টি টিভি on ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ ৪:২৩ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়কে সিংগুরিয়া বাজার থেকে নিকরাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকায় সংস্কারের নামে প্রায় দেড় কোটি টাকা ভাগাভাগি করে হরিলুটের পায়তারা করছে এলজিইডি’র কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান! শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এলাকাবাসী একজোট হয়ে ওই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছর এলজিইডি কর্তৃক টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কে সিংগুরিয়া বাজার থেকে ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার ভালো সড়ক খানাখন্দ দেখিয়ে সংস্কারের জন্য এক কোটি ২৭ লাখ টাকায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পায় ভূঞাপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘অবনি এণ্টারপ্রাইজ’। পরে শুধুমাত্র অর্থ আত্মসাতের কারণেই মৌখিকভাবে সিডিউল পরিবর্তন করে সংস্কার ব্যয় বাড়ানো হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংস্কার কাজে পুরাতন সড়ক ভেঙে নতুন সড়ক নির্মাণসহ দুই পাশে তিন ফুট করে মাটি ভরাটের শর্ত থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা মানছেনা। দায়সারাভাবে কাজটি শেষ করার প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি’র কর্তারা। টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূঞাপুর উপজেলা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মিণ্টু মিয়ার উপস্থিতিতেই পুরাতন সড়ক না ভেঙে ওই সড়কের উপরে ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার পাথরকুঁচি ও বিটুমিন ফেলে সংস্কার কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর জোর অভিযোগ, এলজিইডি’র অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিপুল অংকের টাকা ভাগাভাগির মাধ্যমে আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই ভালোসড়ককে ‘ভাঙা-খানাখন্দপূর্ণ’ দেখিয়ে সরকারি অর্থের অপচয় করছে। গত বন্যায় এলজিইডি’র ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকায় ভূঞাপুর উপজেলার ৩৬ কিলোমিটার সড়কের উল্লেখ থাকলে এ সড়কের নাম নেই। তালিকাভুক্ত ৩৬ কিরোমিটার খানাখন্দে ভরপুর চলাচল অযোগ্য সড়ক সংস্কার না করে শুধুমাত্র সরকারি অর্থ ভাগাভাগি করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভালোসড়ককে ‘ভাঙা-খানাখন্দপূর্ণ’ দেখানো হয়েছে। ভালোসড়ককে ‘ভাঙা-খানাখন্দপূর্ণ’ দেখিয়ে টেন্ডার দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের নগ্ন চেষ্টাকারী সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী। একই সাথে তালিকাভুক্ত ৩৬কিলোমিটার খানাখন্দপূর্ণ সড়ক সংস্কারের দাবি জানায় এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূঞাপুর উপজেলার কতিপয় ঠিকাদার জানান, ভূঞাপুর এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো. মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরণের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। মূলত: এলজিইডি’র কর্মকান্ড নিয়ে কেউ প্রতিবাদ না করায় তিনি হরিলুটের স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছেন।
সিডিউল মোতাবেক কাজ না হওয়ার কথা স্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেকমত জানান, এলজিইডি’র কর্মকর্তাদের নির্দেশে ও তাদের উপস্থিতিতেই সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কিছু নাই।
এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর উপজেলা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী মো. মিন্টু মিয়া জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশেই সিডিউল পরিবর্তন করে কাজটি করা হচ্ছে।
মৌখিক নির্দেশের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, এ সড়কে অনেক লোক যাতায়াত করে সেজন্যই এর সংস্কার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সব সড়কই সংস্কার করতে পারব।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও
-
করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন উপসর্গ
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা