প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
মধুপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জমির মালিকানা চায়!
By দৃষ্টি টিভি on ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ৯:২৩ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
উচ্ছেদ আতঙ্ক মাথায় নিয়ে মধুপুর গড়ে বসবাসকারী গারো ও কোচসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা ভূমির অধিকার চায়! ভূমির অধিকার না পাওয়ায় অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুর শালবনের হাজার-হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধিবাসী। সম্প্রতি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি আলোচনায় আসায় নতুন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী উচ্ছেদ আতঙ্ক জোরদার হওয়ায় জমির মালিকানার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা সমস্যা সমাধানে ভূমির মালিকানা বা দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি করেছেন।
এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করলেও তিন বছর আগে মধুপুর গড়ের বিশাল এলাকা সরকার সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করায় এবং সম্প্রতি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি আলোচনায় আসে। যুগের পর যুগ ধরে বসবাস এবং জমিজমা ভোগদখল করলেও বেচাকেনা করতে না পারায় নানা সমস্যায় ভূগছে তারা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নেতাদের অভিযোগ যেসব এলাকায় তাদের জমিজমা রয়েছে, সেসব স্থানেই বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন, সরকারের কাছে জোর দাবি এই ভূমির আইনগত স্বীকৃতি আমাদের দেয়া হোক। যে সব এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করছে সেসব এলাকাগুলো সনাক্ত করে তা তাদের মালিকানায় বা দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের নেতারা।
বাংলাদেশ ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা তুষার দারিং বলেন, সরকার যদি জমির ব্যবস্থা করে দিতে পারে তবে সেখানে আদিবাসীরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তবে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের র্শীষ কর্মকর্তারা বলছেন, মধুপুরের বনাঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাউকে যেন উচ্ছেদ করা না হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, সাত বছর আগে একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই এলাকাকে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে, এই বনভূমির ভিতরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যে মানুষেরা আছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও বন মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে দিক- নির্দেশনা পেলেই আমরা এই জটিলতাগুলো নিরসন করতে সক্ষম হবো।
মধুপুরের ২০ হাজার ১৯২ একর বনভূমির মধ্যে ২০১৬ সালে ৯ হাজার ১৪৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করে সরকার। এই অঞ্চলে গারো, কোচ, বর্মণসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা সমাপ্ত
-
টাঙ্গাইলে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস পালিত
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
-
টাঙ্গাইলে আইসক্রিম ফ্যাক্টরীকে জরিমানা
-
মাসিক কবিতা আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতা
-
নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর :: ডোনাল্ড লু
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধন
-
টাঙ্গাইলের ১৬ সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা ওড়েনা!