প্রথম পাতা / অপরাধ /
যমুনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিধন!
By দৃষ্টি টিভি on ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবাধে অবৈধভাবে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন নদীতে মা ইলিশ ধরার বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। রাতে ও দিনে জেলেরা যমুনা নদীতে অবাদে কারেণ্ট জাল দিয়ে মাছ ধরছে। প্রতিদিন গড়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকার যমুনা থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০টন মা ইলিশ ধরা হচ্ছে। জেলেরা অভিযোগ করেন নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে নৌ পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের টাকা ও মাছ দিতে হয়।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ও কালিহাতী উপজেলার যমুনা নদীতে দিনে রাতে অবাদে ধরা হচ্ছে মা ইলিশ। প্রতিদিন চার শতাধিক জেলে যমুনা নদী থেকে গড়ে ১৮ থেকে ২০ টন মা ইলিশ মাছ ধরছে। পরবর্তীতে ইলিশগুলো কয়েকটি পয়েণ্টে জেলেরা একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষ ও মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ইলিশ দুইশ’ থেকে তিনশ’ টাকায় মাত্র বিক্রি করছে। কালিহাতী উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন গরিলাবাড়ি, বেলটিয়ার মুকতলা নামকস্থানে হাট বসিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে মা ইলিশ। প্রতিদিন ভোরে এসব জায়গায় ক্রেতারাও ভিড় করেন মাছ কিনতে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বেলুর চর এলাকায় শত শত নৌকাযোগে জেলেরা ইলিশ নিয়ে সেখানে বিক্রি করছে। প্রকাশ্যে যমুনা নদীতে মাছ ধরা ও বিক্রি করলেও অজ্ঞাত কারণে মৎস্য বিভাগ বা নৌ পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছত্রছায়ায় জেলেরা যমুনা নদী থেকে প্রকাশ্যে অবাদে মাছ ধরছে। এজন্য নৌকা প্রতি ওই ইউপি সদস্যকে টাকাও দিতে হয় বলে জানান জেলেরা।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেলুর চরে মাছ বিক্রি করতে আসা জেলেরা জানান, মাছ ধরা নিষিদ্ধ জেনেও পেটের দায়ে মা ইলিশ ধরে বিক্রি করেন তিনি। মাছ ধরতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকা ও মাছ দিতে হয়। অনেক সময় প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে নদী থেকেই মাছ জোর করে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
গোহালিয়াবাড়ির আফজালপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, আফজালপুর পুরো গ্রামটাই নদীর মধ্যে। এখানকার সবমানুষই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। সরকারিভাবে কোন অর্থসহায়তা তারা পায়নি। মেম্বার হিসেবে সবাইকে আমার সহযোগিতা করতে হয়। ইলিশ মাছ বন্ধের জন্য যদি সরকার আগে থেকে জেলেদের আর্থিক সহায়তা করতো তাহলে যমুনা নদী থেকে মা ইলিশ ধরা বন্ধ হত।
বঙ্গবন্ধু সেতু নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবর আলী জানান, সল্পসংখ্যক লোকবল দিয়ে রাতে যমুনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা খুবই কষ্টের। এছাড়া ফাঁড়িতে বরাদ্দকৃত বোটটি (নৌকা) অনেকদিন যাবত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বোট সংকটের কারণে মাছ ধরা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। তারপরও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি।
ভূঞাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম বিল্লাহ জানান, ভূঞাপুর যমুনা নদীতে মা ইলিশের মৎস্য জোন না থাকায় জেলেরা কোন সরকারি অর্থসহায়তা পাচ্ছে না। সারাদেশের ন্যায় ভূঞাপুরেও ইলিশ ধরা বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।
কালিহাতী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, মা ইলিশ ধরার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন জেলেদের পাওয়া যাচ্ছে না।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, ইলিশ রক্ষায় তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যমুনা নদীকে ইলিশ জোন ঘোষণা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর তা করা গেলে জেলেরা আগামি বছর থেকে সব রকমের সুবিধা পাবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ট্রান্স-এশিয়ান রেলপথ নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে দেশ
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মলিকুলার বেসিস অফ ডিজিস : বায়োকেমিক্যাল পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনার
-
কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যান-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত
-
টাঙ্গাইলে ধান ক্ষেত থেকে কঙ্কাল উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
-
তিন দিন কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত-শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
-
পথ-ঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রক্ত রঙের ছড়াছড়ি!
-
ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বহিষ্কার