আজ- ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার  সন্ধ্যা ৬:১২

আদালতে আসামির জবানবন্দি :: এমপি রানা’র নির্দেশেই দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়

 

দৃষ্টি নিউজ:

Mp_Rana_Photo_jpgটাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা’র নির্দেশেই যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও এক আসামি হিরন মিয়া (৩৮) আদালতে জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার(২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে ওই জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ জানান, গত বুধবার(২৬ এপ্রিল) হিরন মিয়াকে বিশ্বাস বেতকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি যুবলীগ নেতা মো. শামীম ও মামুন মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রুপম কান্তি দাস আসামি হিরন মিয়ার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত হিরন মিয়া (৩৮) শহরের বিশ্বাস বেতকার বাসিন্দা।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আদালত সূত্র জানায়, হিরন মিয়া জবানবন্দিতে বলেন, মামুন ও শামীমকে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা’র নির্দেশেই মোর্শেদের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়। গত মার্চে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি সাহাদত হোসেন ওরফে সাধু (৪৫) এবং খন্দকার জাহিদুল ইসলাম (৩৮) আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতেও সাংসদ আমানুর ও তাঁর ভাই জাহিদুর রহমান খান কাঁকনের এই হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামীম (২৮) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মিয়া (২৫) ২০১২ সালের ১৬ জুলাই নিখোঁজ হন। ওই দিনই দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
নিহত দুজনের পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘটনার পর তাঁরা মামলা করার সাহস পাননি। ২০১৩ সালের জুন মাসে টাঙ্গাইল শহরে তুহিন নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা মো. মোর্শেদ আত্মগোপন করেন। তখন ছেলে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক বছর পর মামুন মিয়ার বাবা আবদুল আজিজ ২০১৩ সালের ৯ জুলাই টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিমের আদালতে মোর্শেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামুন ও শামীমকে হত্যা এবং তাঁদের লাশ গুম করার অভিযোগ এনে মামলা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। সদর থানার পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি নথিভুক্ত করে। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)।
পুলিশ সূত্র বলেছে, যুবলীগ নেতা বলে পরিচিতি পেলেও দলে মোর্শেদের কোনো পদ ছিল না। সাংসদ আমানুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তাঁর নামে চারটি হত্যাসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno