আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় আসায় দেশের ধর্মান্ধরা উৎফুল্ল :: কৃষিমন্ত্রী

দৃষ্টি নিউজ:

আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনও তৎপর। তারা এখনও নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা এই বাংলাদেশকে এখনও পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার অপচেষ্টা করছে।

তাদের প্রতিহত করতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আজও পর্দার অন্তরাল থেকে নীল কুটি-লাল কুটির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

রাজাকার-আলবদরদের দিয়ে দল গঠন করে বিএনপি দেশের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হেয় ও ছোট করেছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে, বন্দুক-রাইফেলের নলের মুখে। অস্ত্রের ও ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

মানুষকে বিভ্রান্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস বিকৃত এবং মিথ্যাচার করে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই রাজাকার-আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীদেরকে ক্ষমতায় এনে বিএনপি দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে।

তিনি বলেন, দেশের ক্রমাগত উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তারা অতীতের মতো এখনও অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় আসায় এই বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত তথা ধর্মান্ধরা ভেতরে ভেতরে খুব উৎফুল্ল।

সেখান থেকে টাকা আসবে, অস্ত্র আসবে আর দেশে তারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে- তারা এই আশায় রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১২ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সময়ে সকল ক্ষেত্রে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সারা পৃথিবীতে যা প্রশংসিত হচ্ছে। ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ পেয়েছেন।

আমরা উন্নয়নের এ ধারাকে ধরে রাখতে চাই। এটি করতে হলে আগামীদিনেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। রোববার(২৬ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী বক্তব্য রাখছিলেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ড. রাজ্জাক বলেন, ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থে দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে না গিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, দুই বছরের মধ্যেই আগামী জাতীয় নির্বাচন। এর আগেই দলকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সেজন্য অতিদ্রুত দলের জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ করতে হবে। এসময় বিভিন্ন সম্মেলন ও কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, দলের জন্য আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। সেজন্য তরুণ ও আগামী প্রজন্মকে দলে বেশি করে সুযোগ দিতে হবে, তাদের হাতে দলকে তুলে দিতে হবে।

তরুণদেরকে আওয়ামী লীগের আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে। শিক্ষিত মেধাবী তরুণদেরকে দলে জায়গা দিতে হবে। একইসাথে প্রবীণ ও অভিজ্ঞদের বুদ্ধি-পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারি এমপি প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের) এমপি। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে