একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান ফারুককে তিন শতাধিক ক্রেস্ট প্রদান

দৃষ্টি নিউজ:

মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য টাঙ্গাইলের বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফারুক এ বছর একুশে পদক পাওয়ায় স্থানীয় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সোমবার(৮ মার্চ) নাগরিক গণসংবর্ধনার আয়োজন করে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ।

ওই অনুষ্ঠানে প্রবীণ রাজনীতিক ফজলুর রহমান ফারুককে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন শতাধিক ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

একই সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সংশ্লিষ্টরা। এক অনুষ্ঠানে এক ব্যক্তিকে এতগুলো পদক দেওয়ার ঘটনা টাঙ্গাইলে এটাই প্রথম।

প্রবীণ কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুবের সভাপতিত্বে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনম, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি।

অনুষ্ঠানে আতাউর রহমান খান এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারি এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী এমপি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, ফজলুর রহমান খান একজন ত্যাগী রাজনীতিক। ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।

ছাত্রজীবন শেষে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক জেল, জুলুম, নির্যাতন তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু কখনো তিনি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।

‘৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে তিনি এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে একুশে পদক দেওয়া হয়েছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমান খান বলেন, টাঙ্গাইলবাসী আমাকে ভালোবাসা ও সম্মানের যে অর্ঘ দিল- তাতে আমি অভিভূত। আপনাদের ভালোবাসা আপনাদের কাছে আমাকে চিরঋণী করে রাখবে।

সংবর্ধনায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে