প্রথম পাতা / অপরাধ /
একে একে ছয় ডাকাতের ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী
By দৃষ্টি টিভি on ৪ আগস্ট, ২০২২ ৬:৪৯ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রামগামী ঈগল পরিবহণে ডাকাতদের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা দেওয়ার পরও ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাননি এক নারী যাত্রী। বার বার কাকুতি-মিনতি জানানোর পরও তাকে ধর্ষণ করে ডাকাত দল। একে একে ছয়জন ডাকাত ওই নারীকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে ওই নারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। মঙ্গলবার(২ আগস্ট) কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহণের বাসে ওঠে তিনি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলেন। বাসটি রাত সাড়ে ৮টায় যাত্রা শুরু করে। রাত সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জে একটি হোটেল যাত্রাবিরতি দেওয়ার পর আবার রওনা দেয়।
বাসটি গেটলক সার্ভিস থাকলেও রাস্তায় সিগনাল দিয়ে তিন দফায় ১০ জন তরুণ বাসে ওঠেন। যাত্রীবেশে ওঠা ডাকাত দল বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হওয়ার পর তিনিসহ বাসে থাকা অন্য যাত্রীদের হাত, পা, মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর একে একে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী মাঝখানের দিকের সিটে ছিলেন। এক ডাকাত এসে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাসে থাকা শিশুদেরও হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। কাউকে কাউকে মারধরও করা হয়। কিছুক্ষণ পর অপর এক ডাকাত এসে ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করতে থাকে। তিনি বিপদ আঁচ করতে পেরে বার বার ছেড়ে দিতে কাকুতি-মিনতি করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। একে একে ছয়জন ডাকাত তাকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও জানান, তার মতো আর কেউ ওই বাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি-না, তিনি তা বলতে পারবেন না। কারণ তারসহ সবারই চোখ বাঁধা ছিল।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রেহানা পারভীন জানান, প্রথামিকভাবে ধর্ষণের কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করতে ঢাকায় সোয়াব পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী যাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। তিন ঘণ্টা ডাকাতদের নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় বাসের চালক রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে- তিনি ডাকাত দলের সদস্য। রাজা মিয়া প্রাথমিকভাবে ডাকাতির সময় তিনি পুরো তিন ঘণ্টা বাস চালান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তিনি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নন এবং অন্যরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে রাজা মিয়া দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিনিময় পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় মেয়েটির স্বামী বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসের চালক ও দুই সহকারীকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৭ সালের গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে এক নারীকে ছোঁয়া পরিবহণের চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে মধুপুর বন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী ছিলেন।
রায়ে ছোঁয়া পরিবহণের চালক হাবিবুর, চালকের সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। বাসের সুপারভাইজার সফর আলীকে সাত বছরের কারাদন্ড দেন আদালত।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
মধুপুরে বারোয়ারী মন্দির ও বনে অগ্নিকাণ্ডে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ!
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও
-
করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন উপসর্গ
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা