আজ- ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার  রাত ২:০৪

ঐতিহাসিক জাহাজমারা দিবস কাল

 

দৃষ্টি নিউজ:

আগামিকাল বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট- ঐতিহাসিক জাহাজমারা দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। পাকিস্তানি জাহাজে আক্রমণ ও দখলের ওই ঘটনাকে মহান মুক্তিযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।


১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর মরণাস্ত্র, গোলাবারুদ, জ্বালানি ও রসদ বোঝাই সাতটি যুদ্ধজাহাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে যমুনা নদী পথে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল।

মহান মুক্তিযুদ্ধের এ দিনে যমুনা নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে মাটিকাটা নামক স্থানে নদীপথের দায়িত্বে ছিলেন কাদেরিয়া বাহিনীর সাহসী কোম্পানি কমান্ডার হাবিবুর রহমান।

তিনি দূরদর্শিতাপূর্ণ যুদ্ধ কৌশল ও অল্প কয়েকজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে জীবন বাজি রেখে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর দুটি অস্ত্রবোঝাই জাহাজ এসইউ ইঞ্জিনিয়ার্স এলসি-৩ এবং এসটি রাজন ধ্বংস করেন।

এর মাধ্যমে হানাদারদের পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। জাহাজগুলো আক্রমণ ও দখল করে এক লাখ ২০ হাজার বাক্সে তৎকালীন ২১ কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়েছিল।


দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে সামগ্রিকভাবে অন্য কোথাও মুক্তিবাহিনীদের হাতে এত বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়নি। পরে যুদ্ধজাহাজ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পাকিস্থানি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি ও ব্রিগেডিয়ার কাদের খানের নেতৃত্বে ৪৭ ব্রিগেড, ৫১ কমান্ডো ব্রিগেড ও বিমান বাহিনীর দুটি এফ-৮৬ স্যাবর জেট বিমান দিয়ে মুক্তিবাহিনীর ওপর চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করে। কমান্ডার হাবিবুর রহমানের দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বের কাছে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরিবর্তনকারী অধ্যায় বা টার্নিং পয়েণ্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে কমান্ডার হাবিবুর রহমানের বলিষ্ঠ সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীরবিক্রম’ ও ‘জাহাজমারা হাবিব’ উপাধিতে ভূষিত করেন।


মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও লেখক জুলফিকার হায়দার জানান, জাহাজমারার ঘটনাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মরণীয় অধ্যায়। এর ফলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের সিরাজকান্দিতে জাহাজমারার ঘটনাটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে স্মৃতিস্তম্ভটি দীর্ঘদিন যাবৎ অযত্ন-অবহেলা আর সংস্কার না করায় ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিটুকু হারাতে বসেছে। দ্রুত স্মৃতিস্তম্ভটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি। দিবসটি উপলক্ষে এদিন স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno