প্রথম পাতা / টাঙ্গাইল / কালিহাতী /
খাদ্য সহায়তা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য :: জেলা প্রশাসক
By দৃষ্টি টিভি on ১২ এপ্রিল, ২০২০ ১২:২৬ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, জনগনের খাদ্য সহায়তা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। টাঙ্গাইলের বাজার মূল্য এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক আছে। কর্মহীন অসহায়দের খাদ্য সহায়তা এবং মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সাথে কাজ করছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে গত মঙ্গলবার(৭ এপ্রিল) বিকাল থেকে টাঙ্গাইল জেলাকে লকডাউনের আওয়তায় আনা হয়েছে।
ডিসি বলেন, অদৃশ্য শক্তির সাথে বিশ্ব আজ যুদ্ধ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ তথা টাঙ্গাইল জেলার মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। করোনা প্রতিরোধে সরকারের নিদের্শনায় জেলার ১২ টি উপজেলায় আমরা নিরলস কাজ করছি। প্রায় ৪১ লাখ মানুষের টাঙ্গাইল জেলা অন্যান্য জেলা থেকে অনেক সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী, ইতিহাস সমৃদ্ধ এবং এতদাঞ্চলের মানুষ সচেতন।
করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সরকারের বরাদ্দকৃত ২৪ লাখ টাকা এবং ৪২৫ মেট্রিকটন চাল সকল উপজেলায় বন্টন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা চলমান থাকবে। ত্রাণগুলো যেন সঠিকভাবে উপযুক্ত ব্যক্তিরা পান সেদিকে জেলা প্রশাসনের কঠোর দৃষ্টি রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জেলার কর্মহীন মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলুসহ করোনা প্রতিরোধের সরঞ্জাম বিতরণ করছি। ইতোমধ্যে নির্মাণ শ্রমিক, কুলি, হিজড়া, শীল, যৌন পল্লীর পতিতা ও বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শ্রেণিভিত্তিক এ বিতরণ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বিত্তশালী ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কাছে জেলা দুর্যোগকালীন তহবিলে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। আমাদের একদিনের বেতন দেড় লাখ টাকা আমরা তহবিলে জমা দিয়েছি। এছাড়া টাঙ্গাইল ক্লাব, সিডি ক্লাব ও ডায়াবেটিকস সমিতি ইতোমধ্যে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং আরো অনেকেই অনুদান দিতে চেয়েছেন।
ডিসি আরো বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি জনসাধারণকে সামাজিক দূরত্ব মেনে ঘরে থাকার জন্যে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে শহরে আসার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদের সতর্ক করতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অল্প পরিমানে জরিমানা করা হচ্ছে। সেইসাথে জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্ব সাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
নির্দেশ অমান্য করে হাট-বাজার বসানো ইজারাদারদের জরিমানা এবং প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি লাল নিশান টাঙানো হয়েছে। এ ব্যাপারে গত ২১ মার্চ এক গণবিজ্ঞতি প্রকাশ করে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে প্রশাসনকে ব্যাপক সহযোগিতা করছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, টাঙ্গাইলে এ পর্যন্ত ১ জন ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত করা গেছে। ১২ টি আইসোলেশন সেন্টারে ১৩৮টি সিট তৈরি করা হয়েছে। ৫ জন ভর্তি হলেও তারা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। জ্বর, ঠান্ডা ও হাঁচি কাঁশিতে আক্রান্তদের মসজিদ-মন্দিরে না গিয়ে বাড়িতে ধর্মপালন করতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১ জন। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের পিপিই সহ যাবতীয় সরঞ্জাম সরবারহ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে হলে জনগণকে অবশ্যই সর্তক ও সচেতন হতে হবে। শুধু প্রশাসনের উপর নির্ভর করলে চলবে না।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
-
ধনবাড়ীতে মে দিবসে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করার অভিযোগ!
-
টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৭ বছরেও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি
-
মহান মে দিবসে টাঙ্গাইলে আ’লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড গরমে জেলা আওয়ামী যুবলীগের ছাতা-পানি-বিস্কুট বিতরণ
-
এলেঙ্গায় মহান মে দিবস পালিত