প্রথম পাতা / টাঙ্গাইল / ঘাটাইল /
ঘাটাইলে করোনার বিস্তার ঠেকাতে গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় বেড়িকেড
By দৃষ্টি টিভি on ৬ এপ্রিল, ২০২০ ৮:৩৬ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের রাস্তা ও পাড়া-মহল্লার সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও বাঁশ বেধে বেড়িকেড দিয়েছে এলাকাবাসী।
সোমবার(৬ এপ্রিল) সরেজমিনে উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও সড়ক ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বেচ্ছা অবরুদ্ধের এ চিত্র দেখা গেছে।
ঘাটাইলের জামুরিয়া ইউনিয়নের সাধূর গলগন্ডা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটাইল-ভূঞাপুর সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় যুবক কায়সার কবীর মিলন জানান, সড়ক দিয়ে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ করতে এবং গ্রামকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না এবং গ্রামবাসী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে বের হচ্ছেন না।
একই ইউনিয়নের গুনগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কর্ণা গ্রামের প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়িকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে গ্রামের যুবকরা । যুবকরা জানান, যানবাহন চলাচল ও গ্রামের মানুষের চলাচল সীমিত করতেই তাদের এই উদ্যোগ। তবে প্রশাসনের সকল যানবাহন ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য চলাচলকারী যানবাহন লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পৌরসভার কাজীরোড, পৌরসভা রোড, পশ্চিমপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। যাতে কোন প্রকার সিএনজি, অটোরিক্সা, রিক্সা চলাচল না করতে পারে। এসব যান চলাচলের কারণে বিভিন্ন মোড়ে আড্ডা ও জনসমাগম ঠোকাতে এ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে স্থানীয়রা।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেক গ্রামের বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে গ্রামের প্রবেশ পথ আটকে দিয়েছেন- এটা খুবই ভাল লক্ষণ।
উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার বলেন, জনসমাগম ও বাজারে লোকসমাগম ঠোকতে গারোবাজার-সখিপুর সড়ক ও ঘাটাইল-ভরাডোবা সড়ক ছাড়া সব গ্রামীণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে জনসমাগম না হয়।
জামুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম খান বলেন, নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামের প্রবেশ পথে বেড়িকেড দেওয়ার খবর পাচ্ছি। নিজে সচেতন না হলে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব না। গ্রামবাসীর মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি হওয়ায় জন্য তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। তবে প্রশাসনিক কাজে যাতে বাধার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, জনগন সচেতন হলে এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব। তবে লকডাউনের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, সরকারি খাদ্য সহায়তা, জরুরি রোগী পরিবহন তথা রাষ্টীয় কাজের বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইলে কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান!
-
ভূঞাপুরে এক ঘণ্টায় এক ভোট
-
টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন
-
টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় নির্বাচনী সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে
-
টাঙ্গাইল জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
-
বাসাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
-
ভূঞাপুরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে রাজমিস্ত্রী নিহত
-
ধনবাড়ীতে পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ আসামি ছিনতাই