আজ- ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৭:১৪

ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনিয়ম!

 

ঘাটাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেীণতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন বদলিজনিত বিদায় নিতে বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থী ভর্তির অনিয়ম ধরা পড়ে।

পরে তিনি বিষয়টি তদন্ত করতে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।


উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারিতে উত্তীর্ণদের ৩১ ডিসেম্বর ও অপেক্ষমান তালিকা থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

পরবর্তীতে গত ১৫ ফেব্ররুয়ারি সপ্তম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়। বিধি মোতাবেক গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসব শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।


এমতাবস্থায় গত ৫ মার্চ বদলি জনিত কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন বিদায়ী সাক্ষাৎ ও সংবর্ধনা নিতে ঘাটাইল সরকারি গণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। ভর্তি নিয়ে নানা মৌখিক অভিযোগ থাকায় তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির খোঁজখবর নেন।

এক পর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা পর্যালোচনা করেন এবং অনুমোদিত তালিকার বাইরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৩ জন এবং সপ্তম শ্রেণিতে ১৯জন শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য পান। অন্যান শ্রেণিতেও শিক্ষার্থী ভর্তিতে বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এ বিষয়ে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলামের সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি।


বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অনুমোতি ছাড়াই শিক্ষার্থী ভর্তি করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষুব্দ হন এবং বিদায়ী সংবর্ধনা না নিয়েই সেখান থেকে চলে আসেন।

ওইদিন (৫ মার্চ) এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনান (ভূমি) ফারজানা ইয়াসমিনকে আহ্বায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

ইউএনও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আলাদা চিঠি দিয়ে তিন কার্য দিবসের মধ্যে অসদুপায় অবলম্বন ও ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়ে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাখ্যা চেয়েছেন।


এ বিষয়ে সদ্য বিদায়ী ইউএনও মো. সোহাগ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখা চেয়ে আলাদা পত্র দেয়ো হয়েছে। কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে নতুন ইউএনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করি।


তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, এ সংক্রান্ত চিঠি সোমবার(৭ মার্চ) পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।


ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ভর্তির অনিয়ম বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। তবে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno