প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
টাঙ্গাইলে করোনার থাবায় ২০২ কিন্ডারগার্টেন বন্ধ ॥ সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষক বেকার
By দৃষ্টি টিভি on ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:৩১ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২টি কিন্ডারগার্টেন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে সাড়ে চার হাজার শিক্ষক বেকার হয়ে পড়েছেন। কিন্ডারগার্টেনের বেকার শিক্ষকরা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সরকারি সিদ্ধান্তে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দেখা গেছে- জেলার ৮১৯টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ২০২টির তালা খোলা যাচ্ছেনা। শিক্ষার্থীরা অন্যত্র চলে গেছে, বেতন বন্ধ থাকায় কোন কোন শিক্ষক ভিন্নভাবে আয় করার চেষ্টা করছেন।
সূত্রমতে, জেলার কিন্ডারগার্টেনের ১১ হাজার ৪৩৬ শিক্ষকের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮৬ জন বেকার হয়ে পড়েছেন।
সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে মির্জাপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়েছে। এ উপজেলায় ১১০টির মধ্যে ৩৫টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়েছে।
সখীপুরে ১১০টির মধ্যে ২৯টি, কালিহাতীতে ৮১টির মধ্যে ২৮টি, ঘাটাইলে ৯৪টির মধ্যে ২৪টি কিন্ডারগার্টেন এখন পুরোপুরি বন্ধ। গোপালপুর উপজেলায় সবচেয়ে কম কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়েছে। এখানে ৩০টির মধ্যে মাত্র ৪টি স্কুল বন্ধ হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের পিচুরিয়া হাবিব প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, করোনার কারণে আয়-রোজগার না থাকায় প্রথম দিকে ঋণ করে শিক্ষকদের বেতন দিয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় স্কুলের তিনটি টিনের ঘর বিক্রি করতে হয়েছে। একপর্যায়ে তিনি স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হন। ফলে শিক্ষকরাও বেকার হয়েছেন। স্কুলের জায়গায় এখন সবজির চাষ করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়া এলাকার কর্ডোভা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহিন আল মাসুদ জানান, ২০১৪ সালে তিনি স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
করোনাকালে স্কুলটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ১৮জন শিক্ষক বেকার হয়েছে। ভাড়া দিতে না পারায় ভবন ছেড়ে দিতে হয়েছে। আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীও অন্যত্র চলে গেছে।
বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা জানান, স্কুলে চাকুরি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোভাবে তাদের সংসার চলত। কিন্তু করোনায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। সরকার কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের প্রণোদনা দিলে তাদের অনেক উপকার হত।
জেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক নাসির আহমেদ জানান, করোনাকালে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কতগুলো কিন্ডারগার্টেন বন্ধ ও চালু রয়েছে- সে বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
-
মির্জাপুরে গভীর রাতে কৃষি শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস :: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে- বেড়েছে হয়রানিও
-
করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে নতুন উপসর্গ
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
-
ধনবাড়ীতে মে দিবসে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করার অভিযোগ!