প্রথম পাতা / ছবি /
টাঙ্গাইলে ঘুম চোখে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অংশিজনরা নেই
By দৃষ্টি টিভি on ২৪ আগস্ট, ২০২২ ৬:১৭ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বুধবার(২৪ আগস্ট) থেকে সকল সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সকাল আট টায় অফিস শুরু হয়েছে।
এ সময়ে টাঙ্গাইলের সরকারি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে দেখা যয়, কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। কর্মচারীদের উপস্থিতি কিছুটা বেশি।
সকাল আট টায় কর্মকর্তাদের অনেকেই ঘুম চোখে উপস্থিত হয়ে এ প্রসঙ্গে বলছেন, ঘুম থেকে দেরিতে উঠার দীর্ঘদিনের অভ্যাস একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
আবার কেউ বলছেন, রাস্তার যানজটের কথা। যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে অনেকে উপস্থিত হতে পারে নি। কিন্তু কোন অফিসেই অংশিজনদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
সকাল আটটা থেকে পৌনে দশটা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সরকারি অফিস ঘুরে দেখা যায়, কোন কোন অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ৯০ শতাংশ, কোন কোন অফিসে ৪৫-৫০ শতাংশ, আবার কোন অফিসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা এসে ঝাড়ামুছা করে গেছেন, কোন অফিসে লাইট জ্বলছে- ফ্যান ঘুরছে কিন্তু কর্মকর্তার উপস্থিতি নেই।
সকাল আট টায় এলজিইডি ভবনে গিয়ে দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম তার অফিসের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালিউর রহমানকে নিয়ে উর্ধ্বতন অফিস থেকে আসা পরিপত্র-প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করছেন।
অফিসের ইউডিএ সনাতন পাল রুমে ঢুকতেই কখন অফিসে এসেছেন জানতে চাইলেন। তিনি জানালেন- বাস টার্মিনালে জ্যাম থাকায় তিনি সোয়া আট টায় অফিসে পৌঁছেছেন। অফিসে শতকরা হিসেবে উপস্থিতির হার ৮৫-৯০ ভাগ।
সকাল পৌনে নয় টায় জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখায় গিয়ে দেখা যায়, রুমের নয়টি ইলেক্ট্রিক বাতির মধ্যে সাতটি জ্বলছে- পাঁচটি সিলিং ফ্যান এক যোগে ঘুরলেও অফিসে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী ছাড়া বাকিরা কেউ আসেন নি।
সকাল সোয়া নয়টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি সরকারি কাজে জেলার বাইরে রয়েছেন।
তার অফিসের সাধারণ শাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোন এক বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোলাহল করছেন। ওই শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীপ ভৌমিক নিজের রুম থেকে এলে কোলাহল থেমে যায়। তিনি অন্য এক বিষয়ে একজন কর্মচারীকে নির্দেশনা দিয়ে নিজের রুমে চলে যান।
সকাল নয়টা পঁচিশ মিনিটে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. আমিনুল ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, রুমটি খা খা করছে- লাইট জ্বলছে, ফ্যান ঘুরছে। কিছুক্ষনের মধ্যে তিনি ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে এলেন।
জানতে চাইলে বললেন, তিনি সকাল আট টায় অফিসে এসেছেন। একটু সময়ের জন্য ওয়াশ রুমে গিয়েছিলেন। তিনি জানালেন- আসলে সময়ের বিষয়ে প্রচারণা দরকার।
এছাড়া বাঙালির ঘুম থেকে দেরিতে উঠার দীর্ঘদিনের অভ্যাস একদিনে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এজন্যই অফিসাররা এলেও অংশিজনরা কিন্তু আসেন নি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নাগরপুরে কিশোরগ্যাংয়ের হামলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মৃত্যু শয্যায়
-
নাগরপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত
-
১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
-
ধনবাড়ীতে মে দিবসে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে বাধ্য করার অভিযোগ!
-
টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৭ বছরেও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি
-
মহান মে দিবসে টাঙ্গাইলে আ’লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
-
টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড গরমে জেলা আওয়ামী যুবলীগের ছাতা-পানি-বিস্কুট বিতরণ
-
এলেঙ্গায় মহান মে দিবস পালিত