আজ- ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার  দুপুর ১২:২৩

টাঙ্গাইলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন ॥ দাম কমে হতাশ কৃষক

 

দৃষ্টি নিউজ:

dristy.tv p-18
টাঙ্গাইলে সর্বত্র এখন বোরো ধান কাটার ধুম। চাষীরা ক্ষেত থেকে পাকা ধান সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। তবে বাজারে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ তারা। তাদের অভিযোগ, চারা রোপণ থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত যে খরচ হয়, সেই তুলনায় বাজারে ধানের দাম পাওয়া যায় না। তবে টাঙ্গাইলে এবার ঝড়-বৃষ্টি হলেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করেন।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের বৈল্লা, এনায়েতপুর, গালা, মাগুরাটা সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার চাষীরা এবং কামলারা ধান কাটছেন। অনেকেই আবার ধান কেটেও ফেলেছেন। কারও কারও ধান কাটা এখনো শুরু হয়নি। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় কৃষক কুরবান আলী, রহমত মিয়া, সাজন আলী, শাহ আলম সহ অনেকেই জানান, এবার ধানে তেমন পোকামাকড় না হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। টাঙ্গাইলে ঝড়-বৃষ্টিতে ধানের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি।
তারা আরো জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের দাম কম। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধান ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু একটি কামলার দাম ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।
ধান কাটা শ্রমিকরা জানান, আগের মতো আমরা ধান কাটতে মজা পাই না। আগে ধান কাটার পর প্রতিটি ঘরে ঘরে উৎসব হতো। কিন্তু আধুনিকার সাথে সাথে এখন আর তেমন উৎসব হয় না।
স্থানীয় সেচ পাম্পের মালিক মানিক মিয়া জানান, আমরা ধানের জমিতে পানি দিয়ে ৪ ভাগের এক ভাগ ধান পাই। কয়েক দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় এখন ধান নিয়ে আমাদের পোষায় না। তবে আমাদের এখানে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
নাটোর থেকে আসা ৮ সদস্যের কামালার দলনেতা মকদম আলী, শেরপুর থেকে আসা আরেক কামলা রহমত আলী জানান, আমাদের ওইখানে ধান কাটা শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা টাঙ্গাইলে ধান কাটার জন্য এসেছি। প্রতিদিন আমারা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পাই। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান কেটে থাকি। ধান কেটে আমরা লাভবান হই। সংসারের যাবতীয় খরচ এর উপর নির্ভরশীল।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে (২০১৬-১৭) টাঙ্গাইলের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৬৬ হাজার ৩৬২ হেক্টর, আবাদ করা হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ছয় লাখ ৪৩ হাজার ২০০ মেট্রিন টন।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু আদনান জানান, জেলায় ধান কাটা এখন শেষ পর্যায়ে। আর সপ্তাহ খানেক আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা সব ধান উঠিয়ে ফেলতে পারবেন। এ পর্যন্ত বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়নি। জেলায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ঝড়, বৃষ্টি কিংবা হাওরের বন্যায় টাঙ্গাইল জেলায় ধানের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। আমরা বিভিন্ন সময় কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস পালন করেছি।
তিনি আরো জানান, আমরা কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকি। কৃষকদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। মাঠ পর্যায়ে আমাদের ৩৫৭ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno