আজ- ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার  ভোর ৫:১৩

টাঙ্গাইলে ২০ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত চারদিনে ২০জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মেেধ্য ১৬ জন পুরুষ ও চার জন মহিলা রোগী। এছাড়া একজন মহিলা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে রোববার(২৮ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, গত ২৬ জুলাই এক জন, ২৭ জুলাই ১৪ জন ও ২৮ জুলাই পাঁচ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হন। সোমবার(২৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু জ্বরাক্রান্ত রোগী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা সবাই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলে এসেছেন।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ রোগীদের মেডিসিন ওয়ার্ড-৪ এ রাখা হয়েছে এবং মহিলা রোগীদের মেডিসিন ওয়ার্ড-৫ এ রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের অন্য রোগীদের সাথে রেখে একত্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের জন্য কোন ধরনের মশারি বা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ও পৃথক সেবা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের এম-৫ নং বিছানায় ভর্তি হওয়া কালিহাতীর নাজিয়া(১৭) ও কেবিন-৭ এ ভর্তি হওয়া ঘাটাইলের হামিদপুরের মির্জাতুল জব্বারের(৬০) আত্মীয়-স্বজনের অভিযোগ, তারা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসকরা সঠিক সময়ে আসেন না, নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়না। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ নির্নয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জ্বরে আক্রান্তদের টাঙ্গাইল শহরের ক্লিনিকগুলোর উপর ভরসা করতে হচ্ছে। শহরে মাত্র ৩-৪টি ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা হচ্ছে। এ কারণে প্রতিদিনই ক্লিনিকগুলোতে ভির বাড়ছে। এই সুযোগে ক্লিনিকগুলো প্রতি রোগীর কাছ থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য এক হাজার ২০০টাকা করে নিচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০৭নম্বর রুমকে ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আউটডোর হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেখানে গিয়ে জানা যায়, দায়িত্বে থাকা আবাসিক চিকিৎসক(আরপি) ডা. সৈয়দ রানা কবীর ছুটিতে রয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন গোপালপুর থানার মুকিন্দবাড়ী গ্রামের রাসেল, নাগরপুর থানার ঘুর্নিবাড়ী গ্রামের আশিক, সদর থানার বেলতা গ্রামের তানভির হাসান, বিশ্বাস বেতকা গ্রামের আব্দুস সালাম খান, মির্জাপুর থানার গুল্লি গ্রামের জোবায়ের, দেলদুয়ার থানার এলাসিন গ্রামের শুভ সাহা। তারা সবাই ঢাকায় কাজ করেন বা কাজে গিয়েছিলেন। তবে বাসাইল থানার বাথুলী সাদী গ্রামের মিজান খান তার বাড়িতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন। যদিও জ্বর নিয়ে ভর্তি রোগীরা জানায়, তীব্র জ্বরের পাশাপাশি তাদের শরীরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছেন। তবে তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, সোমবার(২৯ জুলাই) পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ২০জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে তারা বিভিন্ন সময় ঢাকায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এসব রোগীদের জন্য আলাদা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে হাসপাতালের ২০৭নং কক্ষকে শুধুমাত্র ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একজন আবাসিক চিকিৎসকের নেতৃত্বে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব টাঙ্গাইলে সেভাবে ছড়ায়নি। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় গুরুতর রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করা হচ্ছে। ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে তারা বিভিন্ন ধরণের প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno