প্রথম পাতা / জাতীয় /
টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আগামিকাল ॥ তিন মুসল্লির মৃত্যু ॥ জুমআ’র নামাজে লাখো মুসল্লির ঢল
By দৃষ্টি টিভি on ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ৯:৩৪ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল শহরের বৈল্যা ধুলেচর মাদ্রাসা সংলগ্ন বনানী মাঠে আয়োজিত তাবলীগ জামাতের তিনদিন ব্যাপী ‘জেলা ইজতেমা’য় শনিবার(২৩ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার(২২ ডিসেম্বর) সকালে তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বাদ জুমআ’ তিনজনের জানাজা নামাজ ইজতেমা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় ইজতেমা কর্তৃপক্ষ বা মাঠে স্থাপিত পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকেও সরবরাহ করতে পারেনি। ইজতেমা কর্তৃপক্ষ সব বিষয়ে মিডিয়াকে এড়িয়ে চলছেন। আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন তাও জানাতে অস্বীকার করেছেন তাবলীগী মুরুব্বীরা। তবে, ইজতেমা ময়দান ঘুরে ঘুরে একজনের নাম-পরিচয় জানাগেছে। তিনি হচ্ছেন, ভূঞাপুর উপজেলার বীরহাটি গ্রামের আকবর চকদারের ছেলে জুলহাস চকদার(৫৫)। অপর দু’জনের পরিচয় জানা জায়নি। তারা হচ্ছেন, সখীপুর উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামের শাজাহান(৬০) ও একই উপজেলার নলুয়া গ্রামের জনৈক(৬২)। ইজতেমার মুরুব্বীদের দাবি, তাদের স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বজনরাও স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে স্বীকার করেছেন। তবে উপস্থিতি মুসল্লীরা জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
ইজতেমার জুমআ’র নামাজে লাখ লাখ মুসল্লির ঢল নামে। বনানী মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় আশপাশের সড়ক ও বাড়িঘরের ছাদেও মুসল্লিদের জুমআ’র নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।
গত বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রতিদিন দেশি-বিদেশি ওলামায়ে কেরামরা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।
স্থানীয় তাবলীগী মুরুব্বীরা জানান, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন বয়সী তবলীগী সাথীদের সাথে অন্যান্য জেলার তাবলীগী সাথীরাও ইজতেমায় সমবেত হন। এছাড়া বিদেশি তাবলীগী সাথীরাও টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমায় অংশ গ্রহন করেন। মুরুব্বীরা জানান, টঙ্গির তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায লাখ লাখ মুসল্লির সমাগম হয়। ফলে মুসল্লিদের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখিন হতে হয়। এজন্য দেশের ৬৪টি জেলার তাবলীগী সাথীদের দুই ভাগে ভাগ করে ৩২ জেলা করে দুই পর্বে ইজতেমায়ী কাজ চালানো হতো। দুই পর্ব করার পরও মুসল্লিদের জায়গার স্বল্পতার কারণে ২০১৫ সাল থেকে ৩২ জেলা দুই পর্বে করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের তাবলীগী মুরুব্বীরা।
মুরুব্বীরা জানান, টাঙ্গাইল জেলা ২০১৫ সালে বিশ্ব ইজতেমার ৩২ জেলার তালিকায় না থাকায় ওই বছরের ২৯, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর প্রথম ইজতেমা শুরু হয়। ২০১৬ সালে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন টাঙ্গাইলের মুসল্লিরা। ২০১৭ সালে তুরাগ নদীর তীরে টাঙ্গাইলের মুসল্লিদের অংশ গ্রহণের সুযোগ না থাকায় এবারও জেলায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা তাবলীগী মুরুব্বীরা ধারণা করছেন, টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমায় এ বছর প্রায় চার লাখ মুসল্লির সমাগম হয়েছে। বিদেশি মেহমানসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও তাবলীগী সাথীরা শরিক হন। শনিবার আখেরি মোনাজাতের পর এখান থেকেই সারা বিশ্বে দিনের দাওয়াত নিয়ে বেড়িয়ে যাবেন মুসল্লিরা।
টাঙ্গাইল জেলা তাবলীগি মুরব্বী মওলানা আব্দুল হাই জানান, তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান হয় না। ফলে মুরব্বীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ৩২ জেলাকে দুই পর্বে ভাগ করে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ৩২ জেলার মধ্যেও টাঙ্গাইল জেলার নাম না থাকায় ২০১৫ সালে টাঙ্গাইলের মুসল্লিরা প্রথম জেলা ভিত্তিক ইজতেমার আয়োজন করেন। একইভাবে টাঙ্গাইলে এবছরও জেলা ভিত্তিক ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
টাঙ্গাল জেলা পুলিশ সুপার মাহবুব আলম পিপিএম জানান, টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমায় নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ৪৯৫ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এছাড়া চেক পোর্স্ট ও সিসি ক্যামেরায় ইজতেমার কার্যক্রম সারাক্ষণ মনিটরিং করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা সমাপ্ত
-
টাঙ্গাইলে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস পালিত
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
-
টাঙ্গাইলে আইসক্রিম ফ্যাক্টরীকে জরিমানা
-
মাসিক কবিতা আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা পাঠ প্রতিযোগিতা
-
নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়তেই এ সফর :: ডোনাল্ড লু
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা বিষয়ক প্রকল্পের উদ্বোধন
-
টাঙ্গাইলের ১৬ সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা ওড়েনা!