প্রথম পাতা / টাঙ্গাইল / কালিহাতী /
টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়ক চলাচলের অযোগ্য!
By দৃষ্টি টিভি on ২৭ আগস্ট, ২০১৯ ৮:৫৯ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কের এলেঙ্গা থেকে চরগাবসারা পর্যন্ত ১০টি ব্রিজ, একটি কালভার্ট ও ২০কিলোমিটার সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। সবগুলো ব্রিজ-কালভার্ট ও রাস্তার প্রশস্তকরণের কাজ এক সাথে শুরু করায় সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
টাঙ্গাইল সওজ সূত্রে জানাগেছে, টাঙ্গাইল-ভূঞাপুর সড়কে এলেঙ্গা থেকে চরগাবসারা পর্যন্ত ২০কিলোমিটার রাস্তা ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৪ফুট চওড়াকরণ(প্রশস্ত) ও উন্নয়নের কাজ করছে। ওই সড়কে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি ব্রিজ ও একটি কালভার্ট নির্মাণে তিনটি প্যাকেজে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করছে। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর এবং শেষ হবে ২০২০ সালে ২০জুন।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই সড়ক দিয়ে কালিহাতী, ঘাটাইল, গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাফেরা করেন। তারাকান্দি সার কারখানার মালবাহী যান চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন এবং বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।
ওই সড়কে এলেঙ্গা থেকে ভূঞাপুর পর্যন্ত ১০ব্রিজ ও একটি কালভার্ট এক সাথে ভেঙে নির্মাণ কাজ চলছে। ২০ কিলোমিটার সড়ক চরড়াকরণের কাজও চলছে সমানতালে। যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে যেনতেন ভাবে বিকল্প সড়ক তৈরি করায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাতায়াতকারীরা।
ভাঙা ব্রিজের আবর্জনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অধিকাংশ ডাইভারশন বা বিকল্প সড়ক। সড়কের শ্যামপুর, ফুলতলা, নারান্দিয়া, কাগমারীপাড়া ও শিয়ালকোল বিকল্প সড়ক একেবারে চলাচলের অযোগ্য। সড়কের মাথায় নেই মাটি, একটু পরপরই ছোট-বড় গর্ত। সড়কের উপরেই রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। রোদ থাকলে বিকল্প সড়ক ধূলায় অন্ধকার হয়। নিয়মিত পানি ছিটানো হয়না, বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে ঘোলাটে হয়ে থাকে। ফলে ছোট বড় যানবাহনগুলো চরম ঝুঁকি নিয়েই ডাইভারশন পাড় হচ্ছে। প্রচন্ড ঝাঁকুনি ও ধূলায় পথচারী এবং যাতায়াতকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা, বয়ষ্ক ও অসুস্থদের।
সড়কের পাশে ফুলতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক বলেন, ফুলতলা ব্রিজটির ভাঙা ইট ও আবজর্না দিয়ে বিকল্প সড়ক বানানো হয়েছে। এখান দিয়ে চলাচল করা খুবই কঠিন। নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের ভাঙা আবর্জনা দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার সময় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে সেই কাজে বাধা দেয়। তারা সিডিউল মোতাবেক কাজ করার দাবি জানালেও তা কার্যকর হয়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান নিম্নমানের ডাইভারসন নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ডাইভারশনে গর্ত হয়ে থাকলে তা মেরামত করা হবে। উন্নয়নের জন্য কিছুটা ত্যাগ তো সবাইকেই স্বীকার করতে হবে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বলেন, নিম্নমানের ডাইভারশনের কারণে এ সড়কের যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিষযটি আমি টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিটিং এ একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কোন সুফল হয়নি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
ঘাটাইলে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় মুক্তিযোদ্ধারা বহনের প্রতিশ্রুতি!
-
নিউ ধলেশ্বরী নদীতে বালু উত্তোলনের দায়ে ছয় ব্যক্তি দণ্ডিত
-
টাঙ্গাইলে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
-
টাঙ্গাইলে ভোটাধিকার প্রয়োগের হার ৫৩.৫৮ শতাংশ
-
আজ বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস
-
মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা সড়কে প্রাণহানি ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে
-
নাগরপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত