দুই ভাবীর সঙ্গে মাদ্রাসা ছাত্রের লটরপটর নিয়ে তোলপাড়!

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের পুরবাসিন্দা গ্রামে মাদ্রাসা ছাত্র রিপন হোসেন সিদ্দিকী তার বড় দুই ভাবীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় পর্যায়ে রসালো আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বইছে।

সম্প্রতি বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে তার উধাও হওয়ার ঘটনা যেন তপ্ত আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার অবস্থায় রূপ নিয়েছে। এলাকার চা-স্টল ও হোটেল-রেস্তোরায় চলছে মুখরোচক আলোচনা- সমালোচনা।

জানাগেছে, পারখী ইউনিয়নের পুরবাসিন্দা গ্রামের মজিবর রহমান সিদ্দিকী পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের জনক। মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন। তিন ছেলে বিদেশে থাকেন, এক ছেলে কিশোরগঞ্জে চাকুরি করেন, অপর ছেলে ঢাকার একটি আলিম মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন।

মজিবর রহমান সিদ্দিকীর সৌদি প্রবাসী ছেলে দেলোয়ার হোসেন সিদ্দিকীর স্ত্রী তার মাদ্রাসা পড়–য়া দেবর সাদ্দাম হোসেন সিদ্দিকী রিপনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে ভাবীকে নিয়ে রিপন অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমান। পারিবারিক চাপে দীর্ঘ তিন মাস পর রিপন তার ভাবীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন সিদ্দিকী তার স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে প্রবাসে চলে যান।

সৌদী আরব প্রবাসে থেকে দেলোয়ার হোসেন সিদ্দিকী(৩৫) তিন মাস আগে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ডেলুটিয়া গ্রামের ইয়ার মাহমুদের মেয়ে আরজিনা বেগমের(২০) সাথে ভার্চুয়ালি বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি করেন।

ঢাকার একটি আলিম মাদ্রাসায় আলেমে অধ্যয়নরত সাদ্দাম হোসেন সিদ্দিকী রিপন তার নয়া ভাবী আরজিনা বেগমের সাথেও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের কথপোকথন ও ছবি দেওয়া-নেওয়া চলে।

এক পর্যায়ে ভাবী আরজিনা বেগমকে তার বাবার বাড়ি ডেলুটিয়া থেকে নিয়ে গত ২ মার্চ উধাও হন। পরে গত ৭মার্চ রাতে রিপন তার ভাবী আরজিনাকে নিয়ে পুরবাসিন্দা গ্রামে তাদের ‘সিদ্দিকী’ বাড়িতে উপস্থিত হয়।

উপস্থিতির খবর পেয়ে এলাকাবাসী বাড়িতে ভির করলে রিপন তাদের জানায়, আরজিনার সাথে তার আদালতের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। আরজিনা তার বৈধ স্ত্রী। কিন্তু বড় ভাই দেলোয়ারের সাথে স্ত্রী আরজিনার তালাক না হওয়ায় কিভাবে রিপন তাকে বিয়ে করেছে জানতে চাইলে সুকৌশলে পরের দিন ৮মার্চ ভোরে আরজিনাকে নিয়ে রিপন পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, প্রেমপাগল মাদ্রাসা ছাত্র সাদ্দাম হোসেন সিদ্দিকী রিপন ইতোপূর্বেও তার অপর সৌদি প্রবাসী ভাই লিটন হোসেন সিদ্দিকীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বার বার একই ব্যক্তি প্রবাসী ভাইদের স্ত্রীর সাথে এহেন অপকর্মে জড়ানোয় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেশী মো. সাইদ সিদ্দিকী, সালাম সিদ্দিকী, রোজিনা বেগম সহ অনেকেই জানান, মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও রিপনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরস্ত্রীলোভী। পরিবারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রিপন বার বার একই ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

এলাকার মাতব্বররা সামাজিকভাবে ঘটনাটি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ায় পরিবারের সহায়তায় আরজিনাকে নিয়ে রিপনকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন সিদ্দিকী রিপনের বাবা মজিবর রহমান সিদ্দিকী জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। রিপন সিদ্দিকীকে তিনি বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। রিপনের জন্য তার বাড়ির দরজা সারা জীবনের জন্য বন্ধ। রিপনের কোন খোঁজখবর তিনি জানেন না বলেও জানান।

এ বিষয়ে পারখী ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী তালুকদার জানান, এ ঘটনার বিষয়ে তিনি পুরোপুরি অবগত নন। তবে ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে সামাজিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে