আজ- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার  সকাল ৮:১১

নাগরপুরে ১০ টাকা কেজি’র চাল খোলা বাজারে বিক্রির দাবি

 

নাগরপুর সংবাদদাতা:

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সর্বত্র ১০ টাকা কেজি দরের চাল(ওএমএস) খোলা বাজারে বিক্রির দাবি করছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ৩ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কর্মহীন বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে সরকারি ত্রাণের আওতায় আনতে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। যে পরিমান ত্রাণ সরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে তা কর্মহীন মানুষের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। কর্মহীন বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে হলে খোলা বাজারে ওএমএস বিক্রির বিকল্প নেই। শুধুমাত্র কার্ডধারীদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে সর্বসাধারনের জন্য ওএমএস উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানায় কর্মহীন এসব মানুষ।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নাগরপুর উপজেলায় ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৩ হাজার ৩৭২ জন হতদরিদ্র কার্ডধারীদের মাঝে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল ওএমএস’র মাধ্যমে বিক্রি করাপ হচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ক্ষেত্রে কার্ডধারী ব্যতিত কারো কাছে চাল বিক্রি করা যায়না।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আইয়ুব রায়হান জানান, খোলা বাজারে চাল বিক্রির কোন নির্দেশনা নেই। এখন শুধু পৌরসভা পর্যায়ে খোলা বাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম চালু আছে। যদি উপজেলা পর্যায়ে খোলা বাজারে চাল বিক্রির নির্দেশনা আসে তাহলেই নাগরপুরের প্রকৃত হতদরিদ্র মানুষ স্বল্পমূল্যে চাল কিনতে পারবে।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, করোনা মোকাবেলায় সরকারের ডাকে দেশবাসী সারা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন। তাদের খাবার সংস্থানে সরকার খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। সরকার উপজেলা পর্যায়েও ওএমএস চালু করলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno