আজ- ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার  রাত ৯:১৬

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

 

দৃষ্টি নিউজ:

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মির্জাপুর উপজেলার পাইখার ভাওড়া গ্রামের মো. নুরু মিয়া নামে এক রাজমিস্ত্রি। সোমবার(৯ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, গত ২ জানুয়ারি স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ‘মির্জাপুরে পুলিশের সোর্স নুর মিয়া ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।


নুরু মিয়া জানান, তিনি গত ৪৫ বছর যাবত রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। এ কারণে সব সময় তিনি ব্যস্ত থাকার জন্য এলাকার কোন ঝগড়া-বিবাদের সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন। একটি কুচক্রী মহল মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সংবাদ করিয়েছেন। এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকার লোকজনও সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।


তিনি জানান, ভাওড়া ইউনিয়নের ৩নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য লিটন মাহমুদকে প্রায় ৪ বছর আগে মির্জাপুর থানার এএসআই আশিকুর রহমান ও মিজানুর রহমান ১৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের সময় বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ার কারণে তাকে পুলিশের সামনেই দেখে নেওয়ার হুমকি দেন লিটন। এরপর তার জামিনে মুক্ত হয়ে নূরু মিয়াকে বিপদে ফেলার পায়তারা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ডিসেম্বর পায়খার ভাওড়া গ্রামে রাস্তার উপর প্রজেক্টর লাগিয়ে গ্রামবাসী বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখছিল। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক অটোচালকের সাথে ঝগড়া হয়। বিষয়টি সাবেক ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়ে যায়।


ঘটনার সুত্রধরে পরের দিন সন্ধ্যায় খাঁনপাড়া বাজারে মোবাইলের দোকানদার মো. শিবলু মিয়ার উপর অর্তকিত ভাবে ওই এলাকার মিঠু মিয়া, রাশেদ মিয়া, জুয়েল মিয়া, জনি মিয়া, রানা মিয়া, রিফাত মিয়া, জসিম মিয়া, শরিফ মিয়া, ইউপি সদস্য লিটন, আলীমুল মিয়া, আজিজুল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় গুরুত্বর আহত শিবলু মিয়াকে উদ্ধার করে জার্মুকি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ওই দিন রাতে মির্জাপুর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিবলু মিয়া। বিষয়টি মির্জাপুর থানার এসআই রামকৃষ্ণ তদন্ত করে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার জন্য দুই পক্ষকে অনুরোধ করেন।


তিনি আরও জানান, ওই অভিযোগের ২-৩ দিন পরেই টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহম্মেদ শুভ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অনলাইনে পাওয়া যায়, ওই চিঠিতে লেখা আছে- পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে নুরু মিয়া মাদক বিক্রি সেবন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, সেখান থেকে এলাকাবাসী নিস্তার চাচ্ছেন। ইতোপূর্বে মাদকের একটি মামলা নুরু মিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এমনই একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য স্বাক্ষর করে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনর্চাজকে তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে সংসদ সদস্য খান আহম্মেদ শুভর সাথে দেখা করে ঘটনা খুলে বলেন।

সংসদ সদস্য ঘটনা শুনে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনর্চাজকে ফোন করে বলেন বিষয়টি আরও ভালো করে তদন্ত করে দেখার জন্য। সংসদ সদ্যসের কাছে নুরু মিয়া চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তিনি যদি মাদকের সাথে এক বিন্দু জড়িত থাকেন তাহলে যে কোন শাস্তি তিনি মাথা পেতে নেবেন।


নুরু মিয়া বলেন, আমি মিথ্যা সংবাদ ও আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য যারা দায়ী তাদের ধিক্কার এবং জোড় প্রতিবাদ জানাই।


সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদার মো. আবু হোসেন মিয়া, ওই এলাকার আব্দুল বাছেদ, আলমগীর হোসেন, লুৎফর রহমান, আমজাদ হোসেন, মো. আব্দুল আওয়াল ও ব্যবসায়ী মো. শিবলু উপস্থিত ছিলেন।


ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, নুরু মিয়া বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, তিনি মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত নন।


মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, নুরু মিয়া অনেক আগে পুলিশের সোর্স ছিল। অনেক আগে তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলাও ছিল। বর্তমানে তিনি পুলিশের সোর্সও নন এবং মাদকের সাথে জড়িতও নন। এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno